বান্দরবানের সীমান্তবর্তী রাঙামাটির রাজস্থলীতে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দল ও সশস্ত্র মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনের লাশ এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের টাইঙ্গা পাড়া থেকে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) ১২/১৫ জনের একটি দল সীমান্তবর্তী রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় যাওয়ার পথে রাজস্থলীর গাইন্ধা ইউনিয়নের বালুমুড়া সড়কের কেঁচি পাড়া এলাকায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল সংগঠনের সশস্ত্র গ্রুপ হামলা চালায়। দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ৫টি অস্ত্র, ম্যাগজিন, গুলি, কম্বিং পোশাক ও ব্যাগ উদ্ধার করেছে। নিহতদের মধ্যে ২ জন মগ বাহিনী সদস্য ও ১ জন সাধারণ পাহাড়ি। সাধারণ পাহাড়ির নাম অংথোয়াই মারমা (৪০)। তার বাড়ি বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের টাইঙ্গা পাড়ায়। তবে অন্যদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি, গোলাগুলির ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজস্থলী ও রাজবিলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে এমএলপির শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। তাদের উপরে জনসংহতি সমিতি জেএসএস মূল সংগঠনের হামলার খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে মগ বাহিনীর একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ হামলাকারীদের খোঁজে ঘটনাস্থলের দিকে গেছে।
রাজবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্যঅং প্রু জানান, রাজবিলা-রাজস্থলী সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরীন আখতার বলেন, সশস্ত্র দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে। সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যতটুকু জেনেছি ঘটনাস্থল রাঙামাটি জেলার রাজস্থলীতে পড়েছে। এটি বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। দুর্গম হওয়ায় বিস্তারিত তথ্য পেতে সময় লাগছে।
