দেশে গত এক দিনে আরও ২ হাজার ১৩৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে যে সংখ্যা গত দশ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
এর আগে এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন ২ হাজার ২০২ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিডিনিউজ
আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত নতুন ২ হাজার ১৩৯ জনকে নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ জন।
আর ২৪ ঘন্টায় এ ভাইরাসে আরও ২১ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৫ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬০৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ১৪৬ জন হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৪৪ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩ লাখ ১৭ হাজারের ঘরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৭৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে ২০ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ২১৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৭৮৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪৩২ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৬৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৬৩২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৬৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৮ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ২৬১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২১৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৮২ জন খুলনা বিভাগের, ২০৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫৭ জন সিলেট বিভাগের, ২৮১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।