তুমব্রুর ওপারে আবার গোলাগুলি

সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক বললেন, প্রত্যেকটা ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে

বান্দরবান ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১১ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে রোববার মধ্যরাত থেকে ফের গোলাগুলি হয়েছে। রাতে যুদ্ধ বিমান চক্কর দিয়েছে। সীমান্তের লোকজন জানান, গতকাল সকালে এক ডজনের বেশি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং কয়েকবার যুদ্ধবিমান টহল দিয়েছে। গোলাগুলির কারণে সীমান্তের ৮ কিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গতকাল ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু-আমতলী, ফাত্রাছিরি ও তুইঙ্গাঝিরি এলাকায় সীমান্ত পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। পরিদর্শনকালে রেজু-আমতলী বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া প্রত্যেকটি গুলির হিসাব বিজিবির কাছে রয়েছে। মর্টার শেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা অতিক্রম এবং প্রত্যেকটা ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মিয়ানমার কূটনীতিকভাবে উত্তরও পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে বিজিবির পতাকা বৈঠক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। শিগগিরই হয়ত ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সরাসরি সব বিষয় উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে রোববার মধ্যরাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় ফের গোলাগুলি হচ্ছে। কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ফের গোলাগুলির শব্দে সীমান্ত জুড়ে অধিবাসীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্ত অঞ্চলের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অনেকটা থমথমে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে দুই মাস ধরে মিয়ানমারের ওপারে সরকারি ও তাদের বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যে গত ১ সাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে পড়েছে ৫টি গোলা। ১৬ সেপ্টেম্বর মর্টার শেলের গোলায় মারা গেছে ১ রোহিঙ্গা। আহত হন একজন।
এছাড়া ৪ অক্টোবর দোছড়ি সীমান্তের ছেড়ারকূল সীমান্ত এলাকায় নোম্যান্স ল্যান্ডে মাইন বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির ডান পায়ের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ২ অক্টোবর তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। এ সময় আরেকজন রোহিঙ্গা যুবক আহত হয়। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি একজনের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরও আগে তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপার্বত্য জেলার দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধপাথরঘাটা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী দেড় মাস পর রাঙ্গুনিয়ায় উদ্ধার