তিন কোটি ডোজ টিকা বিনামূল্যে দেবে সরকার

| মঙ্গলবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

সরকারিভাবে প্রথম দফায় করোনাভাইরাসের তিন কোটি ডোজ টিকা এনে তা এই মহামারী মোকাবেলায় যারা সামনে থেকে কাজ করছেন তাদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ভ্যাকসিন সংগ্রহের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অঙফোর্ডের ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ সংগ্রহের প্রস্তাবে গত ১৪ অক্টোবর অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সরকার চুক্তিও করেছে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এখন ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাব অর্থনৈতিক ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাবে, সে প্রস্তাব চলে এসেছে। খবর বিডিনিউজের।
প্রথম দফায় ভ্যাকসিন কারা পাবে- সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা গাইডলাইন আছে। প্রথম কারা পাবে, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবে, সে অনুযায়ী তারা একটা প্রোগ্রাম ডেভেলপ করছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার- পুলিশ, প্রশাসনের লোক যারা মাঠে চাকরি করছে, তারপর বয়স্ক লোক, বাচ্চা- এরকম একটা প্রোটোকল আছে। সচিব বলেন, মানুষকে এই ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় দেওয়া হবে। টাকা সরকার পে করে দিচ্ছে। তিন কোটি ভ্যাকসিন ফ্রি দেওয়া হবে। এই টিকা বিতরণে অনিয়ম হলে কী হবে- এমন প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, করাপশন কেউ করলে আমাদেরকে জানাবেন, উই উইল টেইক অ্যাকশন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই ভ্যাকসিন কিনতে মোট কত টাকা করে খরচ হবে তা ক্রয়চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। বুধবার বিষয়টি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে। আরও অনেকগুলো ভ্যাকসিনের বিষয়ে (মন্ত্রিসভায় তথ্য) উপস্থাপন করা হয়েছে, তারা বলেছে- যোগাযোগ রাখছে। এখনই বলা যাচ্ছে না কোনটা বেশি কার্যকর হবে। আমাদের এক নম্বর কন্ডিশন হল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মানতে হবে। যার সাথে চুক্তি করবেন, যদি মেজর কোনো সমস্যা হয়, তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকলের বাইরে গেলে ওই চুক্তির কোনো মূল্য থাকবে না। বাংলাদেশে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের সম্ভাব্য টিকার ট্রায়াল আটকে থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওরা একটা টাকা চাচ্ছে। সরকার এখনও দেয়নি বা রাজি হয়নি। আমরা ওটা এখনও বাতিলও করিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিক্সড ডিপোজিট থেকে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে পাঁচ মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ