তাপদাহে লবণের মাঠে সুবাতাস

দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন

ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী | শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

তীব্র তাপদাহ যেখানে জনজীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন অস্বস্তি, সেখানে একই তাপপ্রবাহ লবণ চাষিদের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে এসছে। প্রখর সূর্য তাপে বেড়েছে লবণ উৎপাদন। মৌসুমের প্রায় শেষের দিকে এসে অনুকূল আবহাওয়ায় কক্সবাজার উপকূলের লবণের বাম্পার উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করছেন চাষিরা।

কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে এবার লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। এসব মাঠে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লবণ উৎপাদিত হয়েছে ১৭ লাখ মেট্রিক টন। প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। চলতি বছর দেশে লবণের জাতীয় চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।

কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া জানান, উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় লবণের দাম পতনের দিকে রয়েছে। মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামের লবণ চাষি মোহাম্মদ আলম বলেন, গত ১০ দিন ধরে তীব্র তাপ প্রবাহে লবণ উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সকালে দেওয়া পানিতে বিকেলেই হচ্ছে লবণ। লবণ মৌসুমের শেষের দিকে এসে আমরা ভালো উৎপাদন করতে পারছি। এ অবস্থা আগামী ১০ দিন অব্যাহত থাকলে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। অপরদিকে উৎপাদন বেশি হলেও লবণের দাম কমতে শুরু করেছে। তবুও লবণ চাষিরা উৎপাদন বেশি হওয়ায় খুশি।

লবণ ব্যবসায়ী মো. সরওয়ার আলম বলেন, তীব্র গরম মানুষের অসহ্য হলেও এই তাপ প্রবাহ লবণ চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। লবণ চাষিরা উৎপাদন বাড়াতে এটিকে কাজে লাগিয়ে অসহ্য গরম মাথায় নিয়ে লবণ উৎপাদন করে যাচ্ছে। তিনি লবণের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহাসড়কে প্রাণ গেল দুই যাত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধঅসুস্থ শিশুদের নিয়ে বাবা মায়ের আতঙ্কের প্রহর