ট্রেনের হুকে আটকে ১০ কিমি ছেঁচড়ে গেল তরুণের দেহ

কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রেললাইন পার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১২ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ নিহত হয়েছেন। শুধু তাই নয় ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে তার দেহ আটকে গেলে ট্রেনটি অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে তাকে টেনে নিয়ে যায়। গত বুধবার রাত ১০টায় উপজেলার সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা এলাকা সংলগ্ন রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম সাইফুল ইসলাম (২০)। তিনি বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভুলিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সাইফুল অ্যালবিয়ন ল্যাবরেটরি নামে একটি কারখানায় চাকরি করতেন।
সাইফুলের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে সাইফুল কারখানা থেকে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী ট্রেন চট্টলা এঙপ্রেস তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে তার দেহ আটকে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে কুমিরা রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনটি থামে। সেখানে স্টেশনে থাকা লোকজন ইঞ্জিনের সামনে তরুণের লাশ ঝুলে থাকতে দেখে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
সাইফুলের মামা মোহাম্মদ মিজান উদ্দিন বলেন, সাইফুল সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার বয়স যখন ১৭ তখনই তার বাবা মারা যান। এরপর থেকে সাইফুল পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি নেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার মা রহিমা বেগম শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। গতকাল সকালে রহমতনগর জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
কুমিরা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আজিজুল হক বলেন, তরুণটি কানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়। তার মরদেহটি ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে যাত্রীরা আমাকে জানায়। পরে বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে সলিমপুর এলাকায় রেল লাইনে বসে গিটার বাজানোর সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ওমর ফারুক নামের এক যুবক নিহত হন। এর পরদিনই ঘটল এই ঘটনাটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৬ আগস্ট
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি ওষুধ চুরিতে বড়ধরনের শাস্তির বিধান