টেকনাফ বন্দর থেকে দুই মাস পর ছাড় পেল মিয়ানমারের নৌকা

পণ্য নষ্ট হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব

টেকনাফ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে স্থল বন্দরে দুই মাস ধরে আটকে রাখা একটি বাণিজ্যিক নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে আসা নৌকাটি ১ জুলাই সুপারি, আধাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে টেকনাফ বন্দরে ভিড়ে। এরপর লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে নষ্ট পণ্য ডেলিভারি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ভুক্তভোগী টেকনাফের সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা এটি আটকে রাখে। অবশেষে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও উদার বাণিজ্যিক মনোভাব বিবেচনা করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এসি ল্যান্ড এরফানুল হক চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক শেষে নৌকাটি ছেড়ে দেন।
এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে নষ্ট পণ্য এনে টেকনাফ বন্দরে ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে নৌকাটি আটকে রাখা হয়েছিল। পরে খবর পেয়ে নৌকাটি ছাড় করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্সি বসে সমাধান করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
টেকনাফ স্থল বন্দরের সেভেন স্টার সিএন্ডএফ এজেন্টের ইনচার্জ আরফাতুর রহীম বলেন, মিয়ানমার থেকে ৬ কোটরা ভর্তি পণ্য নিয়ে গত ১ জুলাই টেকনাফ ভিড়ে নৌকাটি। মিয়ানমারের তুআইনজি নামক সিএন্ডএফ এজেন্ট কতৃপক্ষ পণ্যের সমস্ত লেনদেন শেষ করে নৌকাটি টেকনাফ বন্দরে ভিড়িয়ে দেয়। কিন্তু পণ্য আনলোড করার সময় দেখা যায় একটি কোটরার প্রায় ৫ শতাধিক বস্তাবন্দি আধা, সুপারিসহ এক কোটি টাকা মূল্যের পণ্য লবনাক্ত পানি ঢুকে নষ্ট হয়। এতে আমার ৩৫৬ বস্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী ফেরদৌসের ৫০ বস্তা ও সাদ্দামের ৯০ বস্তা পণ্য ছিলো।
এ বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা না হওয়ায় টেকনাফ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্ব শীলকে অবহিত করে নৌকাটি মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধ্য দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে আসা নৌকাটি আটকে রেখেছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বন্দর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এরফানুল হক চৌধুরী সমন্বয় করে এটির সমাধান দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুঁড়ো করা হচ্ছে বছরে ৫৫ লাখ টন চাল
পরবর্তী নিবন্ধশব্দদূষণের দায়ে ১১ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা