টিকা তৈরি করে বিদেশে পাঠানোর সক্ষমতা আছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাবে

| মঙ্গলবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। গতকাল সোমবার সংসদের সাধারণ আলোচনায় সামপ্রতিক বিদেশ সফরের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, আজকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের যে সাফল্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি এটাও বলে এসেছি, আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরি করার যে বাধাগুলো আছে, সেগুলি আপনাদের সরিয়ে দিতে হবে।
করোনাভাইরাসের টিকা যেন সর্বজনীন হয়, সেই আহ্বান বিশ্বনেতাদের জানানোর বিষয়টি তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য। জনগণের সম্পদ হিসেবে দিতে হবে। সারা বিশ্বে কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে না থাকে। আমাদেরকে সুযোগ দিলে আমরা উৎপাদন করব। আমরা বিশ্বে দিতে পারব। সে সক্ষমতা আমাদের আছে। জমিও নিয়ে রেখেছি। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। খবর বিডিনিউজ ও বাসসের।
গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন এবং প্যারিসে ইউনেস্কোর ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সফর শেষে রোববার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ নভেম্বরে প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। মোটিভ ক্রিয়েশন নামে উগান্ডার একটি সংগঠন এবারের ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুরস্কার পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে একদিন বাংলাদেশেরও কোনো উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধুর নামে ইউনেস্কোর চালু করা ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার পাবে। তিনি বলেন, স্টার্টআপ প্রোগ্রামের যে সুযোগ সরকার দিয়েছে সে সুযোগটা নিয়ে আমাদের যুব সমাজ তাদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ পাক এবং তারা এগিয়ে আসুক।
বাংলাদেশের প্রস্তাবে গত বছর ডিসেম্বরে ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থার প্রবর্তন করা প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার এটি। বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার চালু করায় সংসদের আলোচনায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। সাধারণ আলোচনায় স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে জাতির পিতার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর পর আমরা কী দেখেছি? ১৯টা ক্যু হয়েছে। হাজারো সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈনিক, বিমান বাহিনীর অফিসার ও সৈনিক এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে ফেলে রাখা হয়েছে, নির্যাতন চলেছে। গুলি-অস্ত্র, দুর্নীতি-এটাই ছিল জননীতি। এর বাইরে একটা দেশকে যে উন্নত করা যায়, সেদিকে কোনো আন্তরিকতাই আমরা দেখিনি। আমি বাংলাদেশে আসার পর কী দেখেছি? বিজ্ঞান পড়েই না মানুষ। এই অবস্থা! বিজ্ঞানের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। গবেষণা তো ছিলই না। কোনো বিশেষ বরাদ্দও ছিল না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউনিট সম্মেলন ‘একতরফা’ হচ্ছে বলে অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধছাত্রলীগের পর এবার ইন্টার্ন ডাক্তারদের সংগঠনেও বিভক্তি