টাকার মান রাখতে ডলার কিনেই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

| রবিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২০ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

মহামারীকালে টাকার মান ধরে রাখতে বাজার থেকে ডলার কিনেই চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও ২০ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সাড়ে চার মাসে অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৪২০ কোটি ডলার (৪.৩০ বিলিয়ন) ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে কখনই এতো কম সময়ে এতো বেশি ডলার কেনেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের সাড়ে আট মাসে কিনেছে ৫১০ কোটি ডলার। খবর বিডিনিউজের।
আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের ক্রয় মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। প্রায় এক বছর ধরে টাকা-ডলারের বিনিময় হার প্রায় এই একই জায়গায় স্থির রয়েছে। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৭৫। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে তা কিছুটা বেড়ে ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় উঠেছিল। কয়েক দিনের মাথায় তা ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে এসে এখনও সেই দরে লেনদেন হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাজার থেকে ডলার কিনে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ঠিক কাজটিই’ করেছে বলে মনে করেন অর্থনীতির গবেষক জায়েদ বখত। তিনি বলেন, মহামারীর এই কঠিন সময়েও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে উল্লম্ফন এবং বিদেশি ঋণ সহায়তা ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার না কিনলে বাজারে ডলারের দর কমে যাবে। তখন টাকার মানও কমে যাবে। এ কারণে আমি বলছি, টাকার দরপতন ঠেকাতে বাজার থেকে ডলার কিনে সঠিক কাজটিই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার থেকে ডলার কেনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ‘স্ফীত’ হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বলেন, ‘এই যে সামপ্রতিককালে রিজার্ভ রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে, তাতে এই ডলার কেনারও অবদান আছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনা-বেচা নিয়মিত ব্যাপার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে এটি করা হয়। যখন বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যায়, তখন কেনা হয়। আবার যখন ঘাটতি থাকে তথন বিক্রি করা হয়। এখন সরবরাহ বেশি; তাই কেনা হচ্ছে। যখন বাজারে ডলারের প্রয়োজন হবে, তখন বিক্রি করা হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘কথা না শুনলে’ ফেসবুক বন্ধের হুমকি ভিয়েতনামের
পরবর্তী নিবন্ধচলচ্চিত্রে রাজনীতিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু