জ্বালানি সংকট, কর্মসপ্তাহ এক দিন কমাচ্ছে পাকিস্তান

বিদ্যুৎ বাঁচাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা

| বৃহস্পতিবার , ৯ জুন, ২০২২ at ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

মারাত্মক জ্বালানি সংকটের মুখে পাকিস্তান সাশ্রয়ী পরিকল্পনার আওতায় দেশের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির ব্যবহার কমাতে কর্মসপ্তাহ ছয়দিন থেকে কমিয়ে ফের পাঁচ দিনে ফিরে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়াম আওরঙ্গজেব গত মঙ্গলবার জানান, মন্ত্রিসভা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রোববারের পাশাপাশি শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটির দিন বহাল রাখার অনুমোদন দিয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা মারাত্মক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য আমাদের মরিয়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিদ্যুৎ বাঁচাতে আমাদের প্রতিটি বিকল্প পথই নেওয়া প্রয়োজন। গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দায়িত্ব নেওয়ার দিনই শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশে উৎপাদন বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কর্মদিবস একদিন বাড়ানোর কারণে সরকারি কার্যালয় এবং কর্মীদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারও অনেকাংশে বেড়ে যায়।

মন্ত্রী জানান, গুরুত্বপূর্ণ সফর ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণও কমানো হচ্ছে। মন্ত্রিসভা মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ জ্বালানি কোটা ৪০ শতাংশ কমানোর অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া, শুক্রবার সব সরকারি এবং আধা-সরকারি অফিসের কাজ বাসা থেকে করা এবং দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রিসভা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রিসভা একটি কমিটিও গঠন করেছে। অর্থনৈতিক দুর্দশাগ্রস্ত পাকিস্তানে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সংকট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন। শাহবাজ শরিফের সরকার এই সংকটের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশাসনের বিদ্যুৎ খাতের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে। তবে ইমরান ও তার সহযোগীরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা : এদিকে বাংলানিউজ জানায়, অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি লোড শেডিংয়ে নাকাল পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির রাজধানীতে রাত ১০টার পর বিয়ের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য পাকিস্তান সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যায়, গতকাল বুধবার (৮ জুন) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নির্দেশনায় এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা না মানলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এছাড়া ইসলামাবাদে বিয়ের অতিথিদের কেবল এক পদের খাবার পরিবেশন করা যাবে বলে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরীফ বলেন, পর্যাপ্ত তেল ও গ্যাস কেনার মতো টাকা সরকারের কাছে নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে আহতদের পাশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ
পরবর্তী নিবন্ধইরানে ট্রেন লাইনচ্যুত নিহত ২১