জ্বর ও নজর

ভাগ্যধন বড়ুয়া | সোমবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১:১০ পূর্বাহ্ণ

১.
অতিক্রম করে যাই,এক পথ থেকে ভিন্ন পথে
মারাত্মক ভুলগুলো মোচনীয় নয় জেনে ভুলি
সূর্যাস্ত ও সূর্যালোকে চিত্র এক রূপের দ্বৈততা
বিষয়ে কুয়াশাভাব, তবুও স্পষ্ট পৃথক দেয়াল!
২.
দূরাগত শব্দে বলি সীমাবদ্ধ আমার আশ্রয়
তোমারে কোথায় রাখি? দোলাচলে অসহায় মন
উড়ন্ত পাখিরা জানে সেও ঘরে যাবে সন্ধ্যা শেষে
ঘরের ঠিকানা নিয়ে কবে গিয়ে বলি আলিঙ্গনে এসো!
৩.
মাঝে মাঝে মনে হয় একা আছি অজ্ঞাত অরণ্যে
চারিধারে বৃক্ষ, পক্ষি। আশেপাশে পাই পুষ্পঘ্রাণ
বেকুব বাতাস আনে নির্বাচিত বেদনার ফর্দ…
কারও কারও মুখ ভাসে নাম মনে পড়ে না মোটেই !
৪.
আবাস অসহ্য হলে কোন্‌ আস্তানায় যেতে চাও?
মূলত পাখির মন তবুও বুকে আছে সুতো টান!
শেষ সুতো ছিঁড়ে গেলে উড়ে যায় সীমানা পেরিয়ে
চেনা পথ চেনা নদী হয়ে যায় একদা অতীত…
৫.
ছায়ামুখ ফিরে আসে। ডাক, নাম, মনে পড়ে শুধু
ক’টা দিন কাছে থাকো, হুলুস্থুলে কেটে যাক ক্ষণ
দেহের গভীরে মূল প্রসারিত মায়া-প্রীতি শাখা
উঠোনে দাঁড়ালে দেখি, রোদ সরে গেছে শূন্যপথে!

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘূণপোকা
পরবর্তী নিবন্ধতোমার সবকিছু