জেসিকা ভ্যালেন্টির সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকার: ক্যাটিও রেইললি

অনুবাদ: নিগার সুলতানা | শনিবার , ৯ মার্চ, ২০২৪ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

জেসিকা ভ্যালেন্টি জানতে চেয়েছিলাম, সে পৃথিবীতে বসবাস করা কেমন হবে, যেখানে কেউ নারীদের ঘৃণা করেন না; আমরা যদি এমনভাবে বড় হতাম এবং আমাদের সংস্কৃতিতে কোনো প্রকার হয়রানি, সেক্সিম, যৌন হয়রানি থাকতো না এবং এটাই স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হতো!

এটাই তার প্রথম স্মৃতিকথার বর্ণনামূলক শক্তি, অনুসন্ধানী মন যা তার বই ‘সেক্স অবজেক্ট; অ্যা মেমোইর’ কে অতি অকপটে, গাঢ় এবং গঠনমূলক করে তুলেছে। [ডে স্ট্রিট বুকস, জুন ২০১৬]

২০০৪ সালে ভ্যালেন্টি ‘ফেমিনিস্টিং’ নামক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, নারীদেরকে নারীবাদী বক্তৃতার সাথে সম্পৃক্ত করা। তার ওয়েবসাইটটি যথেষ্ট দৃষ্টি আকর্ষণ ও সুনাম অর্জন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে, ভ্যালেন্টিকে অনলাইন নারীবাদী আন্দোলনের পথিকৃতের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

ফুল ফ্রন্টাল ফেমিনিজম(২০০৭), পিউরিটি মিথ (২০০৯) সহ নারীদের বহুমুখী সমস্যা অনুসন্ধান করে এমন চারটি বইয়ের লেখক বা সহ লেখক এবং গার্ডিয়ান ইউ এস, দ্য আটলান্টিক, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নেশন এর সর্বাত্মক সাহায্যকারী হিসেবেও তার প্রজন্মের একজন নেতৃত্বস্থানীয় নারীবাদী বিবেচনা করা হয় ভ্যালেন্টিকে।

সেক্স অবজেক্ট’এ দেখা যায় ভ্যালেন্টি রাজনৈতিক বিষয় এবং প্রকাশ্য সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ বলে ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছেন। বইতে কুইন্সে তার শৈশব এবং নিউইয়র্ক সিটিতে তার যৌবনকালের স্মৃতিচারণে পাঠকদের নাড়া দিয়েছে। একজন মা এবং খ্যাতিমান নারীবাদী লেখক হিসেবে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো খোলাসা করেছেন। তার বইতে বাস্তব জীবনের সেক্সিম এবং মানসিক ব্যাপারগুলোর মেলবন্ধনের একটা ধারণাও পাওয়া যায়।

যারা ভ্যালেন্টির সাধারণ রূপের সাথে অপরিচিত তারা ‘সেক্স অবজেক্ট’এ তার স্পষ্টতা দেখে মুগ্ধ হবেন। লেখক বইতে অকালানুক্রমিক ফ্যাশনে যা স্মৃতিকথা এবং সর্বদা অতি সূক্ষ্ম নারীবাদী বিশ্লেষণকে মিশ্রিত করেছেন। বইতে ভ্যালেন্টি তার নিজের জীবনের যৌন অভিজ্ঞতা (ভাল এবং খারাপ উভয়) প্রকাশ করেন এবং হয়রানির মোকাবিলা, মাদক গ্রহণ, গর্ভপাত করা সম্পর্কেও লিখেছেন। প্রসবকালীন সময়ে বিবাহিত বন্ধুর আগমন এবং প্রায় মৃত্যু পথযাত্রার বেদনাদায়ক দিনগুলোর কথাও তুলে এনেছেন। তার নিজের মাতৃত্ব কেমন ছিল, বিবাহিত জীবনের যন্ত্রণার বিবরণ এবং শৈশবে তার সৎ মা ও দাদীর দ্বারা নির্যাতনের সন্ধানও পাওয়া যায় বইতে।

ভ্যালেন্টি কখনো শৈল্পিকভাবে বা হাস্যকরভাবে এমন এক সংস্কৃতির কথা তুলে এনেছেন, যেখানে নারীদের মূল্য দেওয়া হয় ‘যৌন আবেদনময়ী’ হিসেবে নয় বরং তাদেরকে নিজেদের ঘৃণা করতে বাধ্য করা হয়; কেন তারা যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছে বলে। ‘সেক্স অবজেক্ট’ এ সমাধানের প্রস্তাব দেয় না বা বিস্মৃত রাজনৈতিক মতামত দিতে চায় না বলে, তিনি সহ অনেক লেখককে দ্বৈত চরিত্রের বলে দোষারোপও অনেকে করেন।

বইটি কেবল একটি অতি সাধারণ দৈনন্দিন জীবনগুলোর ডকুমেন্টেশন যেখানে একজন নারীকে ‘পূর্ণাঙ্গ মানুষ’ হিসেবে দেখার প্রয়োজনীয়তা নেই, বরং এটি অনেককে বিকল্প সমাধান, উপমানবীয় পরিচয় দিতে বাধ্য করে অর্থাৎ যেখানে আপনাকে আজীবন একটি যৌন বস্তু হিসেবেই ভাবা হয়েছে। ‘সেক্স অবজেক্ট’ বইটি আরো আলাদা মনে হবে কারণ এতে দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের সাথে যৌনতার এক আধুনিক সম্পর্ককেও অনুসন্ধান করা হয়। ভ্যালেন্টি আওয়াজ তুলেন সে সকল ঘৃণাপোষণকারী মন্তব্য ও অনলাইন ট্রলের যা একজন মিসোজেনিস্ট ভিট্রিওল দৈনন্দিন করে থাকেন। তিনি দেখান এই কুৎসিত মন্তব্য কিভাবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে এবং তা শেষ হয় নারীদেরকে ‘সেক্স অবজেক্ট’ অর্থাৎ যৌন বস্তু ভেবে। এমন হাজারো মেসেজ যা তিনি সোশ্যাল মিডিয়া সহ নানাভাবে পেয়েছেন। ফলাফল স্বরূপ, এটি একটি আকর্ষক, উত্তেজক এবং উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী কারণ গড়ে তুলে কেন আমাদের এখনো ডিজিটাল যুগে অনলাইন নারীবাদের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। আমি একটি শোষণকারী সমাজে বইটি পাঠ করছি এবং ভ্যালেন্টির সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত ছিলাম যখন আমরা আমাদের নিজস্ব গল্প ভাগাভাগি করে নেবার সুযোগ পেয়েছি।

আপনার কখন মনে হয়েছে, আপনার জীবনের এই স্মৃতিকথা নিয়ে লেখার প্রয়োজনীয়তা আছে? এই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলুন

এটি কোনো ঘটা করে নেওয়া সিদ্ধান্ত ছিল না, হুট করেই হয়ে গেছে। আমি মূলত ঝোঁকের বসে লেখা শুরু করেছিলাম, ‘ইট মি’ নামক একটি ফুড কলাম নিয়ে যেখানে পরবর্তীতে আমার পরিবার এবং আমার যৌবনকালে কথা চলে আসে যা আমার আশার বাইরে ছিল। এভাবে লেখালেখি করা, আমি খুব উপভোগ করছিলাম; এটা একটি নতুন লেখার ধরন হয়ে উঠছিল আমার কাছে। আমার জানার বাইরেই এটি প্রচুর সাড়া পেয়েছিলো; আমি একদম আমার নিজের মত করে লিখতে ভালোবাসি। তাই এটি এমন ছিল না ‘ওহ আমার এই বইটা লিখতে হবে’ বরং আরো বেশি ছিল ‘আচ্ছা আমার এই বইটির তো অর্ধেকের বেশি লেখা হয়ে গিয়েছে।‘

কোন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার মনে হয় ‘মেমোইর’ সামাজিক পরিবর্তনের বাহন হয়ে উঠবে?

আমি এর আগেও নারীবাদী বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে লিখেছি তাই আমার মনে হয়নি বিশেষ করে এই বইটিতে এর প্রয়োজন আছে। আমি শুধু চেয়েছিলাম, বইটি নিজের মত করে দাঁড়াক। এই মুহূর্তে, আমরা এমন এক সময়ে আছি যেখানে নারীরা তাদের গল্প বলছেন, নিজেরাই প্রথম বক্তা হচ্ছেন; যেখানে রাজনৈতিক ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে তাদের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছেন। এবং আমি শুধু আমার বই বা কলামেই এটি উল্লেখ করছি না, আমি টুইটারেও তা বলছি যেখানে লাখ সংখ্যক মানুষ #ইয়েসঅলউইমেন বলছে।

আপনি বলেছিলেন, নারীরা যখন নিজেদের গল্প বলে তা আপনাকে মুগ্ধ করে

এটি আসলেই বেশ মনোমুগ্ধকর। দীর্ঘ সময় ধরে, এখানে পুরুষদের গল্প এবং অভিজ্ঞতাকে বেশ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে; যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী ধ্রুব ধরে নেওয়া হয় যেখানে নারীদের গল্পগুলো বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রয়োজনীয়। ধরুন সেক্স নিয়ে যদি কোনো নারী লিখে তাহলে ধরে নেওয়া হয়, সে লোকের মনোযোগ চাচ্ছে; কিন্তু সেই লেখা যদি ফিলিপ রথ লিখেন তাহলে তাকে আপনারা সাহসী এবং অসাধারণ বলবেন। সত্যিই! এখন এমন বিষয়গুলো আমাকে ভাবায় এবং আমার মনে হয় এসব বিষয়ে লেখা ও কাজ দুইটোই জরুরি। এই প্রক্রিয়ায়, এটা উত্তেজনাজনক সাথে ভয়ানকও এবং আপনি জানেন এক অনিবার্য যুদ্ধের জন্যে আপনি প্রস্তুত হচ্ছেন। এ বইটি এখনো বাজারজাত হয়নি কিন্তু লোকে এখনই বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি নিয়ে লিখছে, ‘জেসিকা ভ্যালেন্টি ভাবছে সে একজন আবেদনময়ী সেঙ অবজেক্ট! কে এই মহিলা?’ এবং আমি জানি এমনটাই হতে চলেছে।

আপনার কি মনে হয়, অনলাইনে যেসব নারী এবং নারীবাদীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, মেসেজ পাচ্ছে কর্তৃপক্ষের এবিষয়টি নজরে এসেছে? এই ব্যাপারে কি করা যায় বলে আপনি ভাবছেন?

আমি এই বিষয়ে প্রথম কলাম লিখি ২০০৬ সালে। তার মানে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আজ প্রায় কথা বলছি প্রায় দশ বছর যাবত। কিন্তু মনে হচ্ছে, এ বিষয়টি এখনো নতুন আমাদের কাছে। লোকেরা বুঝতে শুরু করেছে, এটি একটি জরুরি বিষয়। প্রায় মনে হয় এটি একটি অগ্নি চুলা এবং আপনি টিকে থাকতে না পারলে, বেড়িয়ে যান। তবে ব্যাপারটা হচ্ছে, এটি একটি অনলাইন মাধ্যম এবং এখানে কিছু একটা করা যেতে পারে। ধরুন, ইউটিউব! এর একটি এলগরিদম আছে, ফাংশন আছে এবং কপিরাইটও আছে; তাই তারা চাইলে কপিরাইট আইনের সাহায্য নিতে পারে। যদি সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলো তাদের যথেষ্ট চাটুকারিতা দেখায়, আমার মনে হয় অনলাইনের ঘৃণাবিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ হতে পারে। আমার মনে হচ্ছে না তারা আদৌ এর কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বইয়ের সমাপ্তি আপনার অনলাইনের ক্রমান্বয়ে হয়রানির প্রতিবাদ দিয়ে সে সম্পর্কে আমাদেরকে বিস্তারিত কিছু বলুন

পূর্বের আমার লেখা সকল বইগুলো একটি লক্ষ্য নিয়ে সজ্জিত ছিল;তরুণ নারীদের নারীবাদ নিয়ে একটি তাৎক্ষণিক পরিচয় দেওয়া ছিল মূল লক্ষ্য। তাই হুট করে এবিষয়ে লেখা বেশ মজাদার কেননা এর কোনো নির্দিষ্ট টার্গেট নেই। ঠিক তখনই আমার মনে হয়েছে আমার উচিত হবে না, একটি নড়বড়ে ধনুক দিয়ে বইটি শেষ করা। আমি সকলে দেখাতে চেয়েছিলাম অনলাইনে হয়রানি এবং আমাদেরকে পণ্যের মত করে দেখা একটি নিত্য ব্যাপার এবং আলাপ হয়ে উঠছে যা আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।

আপনার বইটি পড়ে আমি বেশ আনন্দ পেয়েছি; বিশেষ করে আপনার অকালানুক্রমিক গঠনটি ভালো লেগেছে। শুরু করেছেন, সাতাশ বছর বয়সে গর্ভপাত দিয়ে এরপর চলে গেলেন আপনার যৌবনের সেসময়ে আবার ফিরে এসেছেন দ্বিতীয় গর্ভপাতের স্মৃতিতে। যেসবের স্মৃতি ছিল একই ক্লিনিকের সাথে। শেষ পর্যন্ত এই গঠনটি ধরে রেখেছেন। আপনি কিভাবে এত সুন্দর করে সব কিছু গুছিয়েছেন?

সব মিলিয়ে এটি একটি জটিল সিদ্ধান্ত ছিল। আমার ভাবনার একটি অংশ জুড়ে ছিল, প্যারাগ্রাফ লেখার চেয়ে বরং আমি সোজাসাপ্টা একটি অধ্যায় লিখব। কিন্তু আমি যখন সেভাবে শুরু করলাম তখন আমার তা তেমন খাঁটি মনে হলো না। পরে আমি অনুভব করলাম, আমার লেখা প্রত্যেকটি অধ্যায় আলাদা এবং তাদের নিজেদের মত করে দাঁড় করানো উচিত। কিন্তু আমি জানতাম, আমি গর্ভপাতের বিষয়টি দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম। তবে সত্য হচ্ছে আমি চেয়েছিলাম দ্বিতীয় গর্ভপাতের ঘটনাটি দিয়ে শেষ করতে। এই সিদ্ধান্ত আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কেননা যেমন এটা আমার দুঃখের মূল তেমন আমার বেঁচে থাকার তাগিদও। যখন আপনি পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে বেড়ে না উঠে নিজেকে বস্তু ভাবা শুরু করবেন, তখন আপনার এক সময় বলতে ইচ্ছা করবে ‘আমি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন চাই, আমি বাঁচতে চাই, নিজের জন্যে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটা নিতে চাই। আমার বইতে আমি এসবকে খুব প্রাধান্য দিয়েছি।

আপনার বইটি লেখার প্রক্রিয়া কি ছিল? আপনার অভিভাবক কলাম এবং আপনার ব্যস্ততা ; আমি জানি আপনাকে কিছু বিষয় ব্যস্ত রাখে

আমি ঘুমাই না [মুখে হাসি]। আমার কোনো নির্দিষ্ট রুটিন নেই। আমি সেসব লোকের তালিকায় নই যারা ভোর ছয়টায় উঠে এবং দশ পৃষ্ঠা লেখে। আমার জীবন খুব আমোদে ভরা। আমার একটি চাকরি আছে এবং পাঁচ বছর বয়সী সন্তান। আমি যখন বইটি লেখা শুরু করি তখন আমার মেয়ের বয়স তিন বছর; তাই যখনই সময় পেতাম লিখতাম। আমার স্বামীও মিডিয়াতে কাজ করে এবং সে বেশ পরিশ্রমী। আমরা খুব দ্রুত সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের ফোকাস কোথায় এবং আমরা কাজ ও পরিবারকে কিভাবে গোছাবো। তাই আমরা খুব একটা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাই না। বন্ধুদের সাথে বছরে এক দুইবার দেখা হয়; নাহয় এসব কখনোই সম্ভব হতো না। সবকিছুকে সহজ মনে করেন যারা তাদেরকে আমার খুব অপছন্দ; কেননা আসলে কাজের পাশাপাশি একটা বই লেখা বেশ কঠিন। সাথে আপনার পরিবার আছে এবং আপনি আপনার কাজে সফল হতে চান; এটা বেশ কঠিন।

আপনার পরিবারের কথা বললে; এই বইটি ছাড়া কিছুই না যা স্পষ্ট। বই নিয়ে আপনার আপনজনদের প্রতিক্রিয়া কেমন?

আমার মনে হয় তারা বোঝে , এমন বড় পরিসরে কাজ করার মানে। তাই তারা স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। বিশেষ করে সবই ঠিক ছিল। আমার পরিবার বেশ সহযোগী এবং এবিষয়টি আমার মায়ের কাছেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমার স্বামী এবং আমার মাঝে বেশ আলোচনা হয় আমার মেয়েকে নিয়ে; তার জন্যে সবচেয়ে ভালো কি হবে; পনেরো বছর বয়সে এই বইটি পড়তে তার কেমন লাগবে। তাই আমার মিশ্র অনুভূতি ছিল যখন তাকে নিয়ে লিখছিলাম। কিন্তু আমি জানি তাকে নিয়ে কিছু বিষয় লেখা বেশ জটিল ছিল কেননা এরপর আমার দ্বিতীয় গর্ভপাত হয়।

বেশ! তাহলে এরপর কি নিয়ে লিখছেন?

আমার মাথায় বেশ কিছু ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে পরবর্তী বই নিয়ে। কিন্তু তাও খুব পাকাপোক্ত নয়। ‘দি গার্ডিয়ান’ ও ‘হিলারি ক্লিনটন’ নিয়ে এখন লিখতে বেশ ভালো লাগছে। সত্য কথা বলতে আগামীর নির্বাচন আমার লেখার বেশ অংশ নিয়ে নেবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালপুরুষের শুভ্রা বিশ্বাস প্রীতিলতারূপে
পরবর্তী নিবন্ধনোয়াপাড়ায় আগুনে পুড়ল ৪ দোকান