জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে

মোহাম্মদ ওয়াহিদ মিরাজ | শুক্রবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১৭ অক্টোবর ৩ পার্বত্য জেলা ব্যতিত এদেশের ৬১ জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দেশে প্রচলিত অন্যান্য নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল ভোটারের ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকলেও এ নির্বাচন কিছুটা ব্যতিক্রম। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ তথা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার, পৌরসভার মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরগণ ভোট দিবেন। সে হিসেবে বলা যায় যে, এসব জনপ্রতিনিধি প্রত্যেক পদে প্রত্যক্ষভাবে ১টি মাত্র ভোট দিলেও তাঁর এই ভোট পরোক্ষভাবে সাক্ষ্য দিবে যে, নির্বাচনকালীন সময়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যত ভোটার ছিলেন তত জন ভোটারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ভোট দিচ্ছেন। তাই গড়ে কয়েক হাজার ভোটারের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট দেয়ার সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে যদি গাফিলতি বা বিবেকের বাইরে গিয়ে অযোগ্যের পক্ষে ভোট প্রদান করা হয় তজ্জন্য অবশ্যই তাকে সৃষ্টিকর্তার দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। তাই তো এসব ভোটারগণের ভোট দেয়ার পূর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান / সদস্য / সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীর এদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আছে কিনা, যোগ্যতা-মেধা আছে কিনা, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাঁর আপ্রাণ চেষ্টা বা শপথ আছে কিনা ইত্যাদি যাচাই করা। এসব যাচাই করতে হলে প্রার্থীগণের বিগত দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান, অভিজ্ঞতা, ক্ষমতা, চারিত্রিক গুণাবলী, দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তাভাবনাসহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে হবে।
একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, প্রকৃত সৎ, নিষ্ঠাবান, যোগ্য, সমাজসেবক, মানবদরদী প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ তথা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করে জেলা পরিষদসমূহের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনেও সম্মানিত ভোটারগণ প্রত্যেক জেলা পরিষদে এমনই একটি নির্লোভ ও সৎ পরিষদ গঠনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনপূর্বক দেশের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
পরবর্তী নিবন্ধশিশুসাহিত্য আমার অহংকার