জুলাই থেকে গণটিকা শুরু : প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।। করোনায় ১৭শ কোটি ডলারের ক্ষতি

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ৩০ জুন, ২০২১ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

দেশে সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের টিকা দিয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথাও বলেছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। জুলাই মাস থেকে করোনাভাইরাসের আরও টিকা আসা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী অর্থবছর থেকে গণটিকা শুরু করে সরকার পর্যায়ক্রমে ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে টিকার আওতায় আনবে বলেও জানান তিনি। খবর বাংলানিউজের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব নাগরিককে বিনামূল্যে করোনার টিকা দেব। এজন্য যত টাকা লাগবে আমরা দেব। এই বাজেটে টিকার জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। ভারতের সঙ্গে করোনা টিকার চুক্তি হয়। কিন্তু ভারতে এমনভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ল যে, টিকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। তবে আশা করছি এখন আর আমাদের সমস্যা হবে না। চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে আরও টিকা আসা শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় আনার ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, যাতে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে। ইতোমধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকা দেওয়া সম্পন্ন হলে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আমরা আগামী অর্থবছর থেকে গণটিকা শুরু করতে যাচ্ছি, যাতে মানুষ কর্মসংস্থানে ফিরে যেতে পারে।
করোনায় ১৭শ কোটি ডলারের ক্ষতি : করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ১ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী বলেও জানান তিনি। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অর্থনৈতিক অভিঘাত থেকে উত্তরণে আমরা ১৫.২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের পাশে পেয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘যত জ্বালা আঁরা মধ্যবিত্তর’
পরবর্তী নিবন্ধবেড়েই চলেছে সংক্রমণ