জুম্‌’আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

সূরা ইখলাস’র শিক্ষা ও তাৎপর্য

সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা, আল্লাহ তা’লাকে ভয় করুন! সেই মহান সত্তার একত্ববাদের উপর পূর্ণরূপে ঈমান স্থাপন করুন, চিন্তা চেতনা ও মননে তাওহীদের আক্বিদা গ্রহণ করুন। একক ও অদ্বিতীয় সত্তা মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহানত্ব প্রকাশ করুন।
সূরা ইখলাস প্রসঙ্গ:
সূরা ইখলাস মক্কী সূরা হিসেবে প্রসিদ্ধ। এক বর্ণনামতে এটি মাদানী সূরা। রুকু সংখ্যা এক, আয়াত সংখ্যা চার, শব্দ সংখ্যা পনের, বর্ণ সংখ্যা ছেচল্লিশটি।
সূরার আলোচ্য বিষয়:
১. মহান আল্লাহ একত্ববাদের বর্ণনা, ২. তাওহীদই ইসলামী দাওয়াতের মূলভিত্তি, ৩. ইসলামী জীবন-বিধানের উৎস তাওহীদের অভ্রান্ত আক্বিদা, ৪. স্রষ্টার সত্বা সৃষ্টির মুখাপেক্ষীতা থেকে মুক্ত ও পবিত্র।
সূরার অনুবাদ:
১. আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ, তিনি এক, ২. তিনি কারোই মুখাপেক্ষী নন, ৩. না তিনি কাউকে জন্ম দিয়েছেন এবং না তিনি কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেছেন, ৪. আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। (তরজমা কানযুল ঈমান, আয়াত: ১-৪)
সূরার শানে নুযুল:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহান আল্লাহ সম্পর্কে আরবের কাফিরগণ, বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করতো, আল্লাহ কি স্বর্ণের না রূপার? তিনি কি লৌহের না কাঠের, তিনি কিসের তৈরী? তিনি কি পানাহার করেন? তিনি প্রভুত্ব কোন সূত্রে লাভ করেছেন? তাঁর পরবর্তী উত্তরাধিকারী কে হবেন? তাদের এহেন ভ্রান্ত প্রশ্নাবলীর প্রতিবাদ ও খন্ডনমূলক জবাবে মহান আল্লাহ সূরা ইখলাস নাযিল করেছেন। (কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান)
সূরা সংশ্লিষ্ট তাফসীর: মহান আল্লাহ স্বীয় সত্বার সুস্পষ্ট বর্ণনা ও তাঁর গুণাবলী বর্ণিত সূরায় ব্যক্ত করে একত্ববাদের পরিচয় বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। এতে তাঁর মহানত্ব শ্রেষ্ঠত্ব ও পূর্ণতার গুণাবলীতে গুণান্বিত হওয়ার বর্ণনা, তাঁর প্রতিপালকত্ব ও প্রভূত্ব অংশীদার মুক্ত হওয়ার বর্ণনা, তাঁর সত্তা কারো প্রতি মুখাপেক্ষী দোষত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার বর্ণনা, আহাদ শব্দ দ্বারা জন্মদাতা ও জন্ম উভয় ধারণার অস্বীকৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর সত্বা সাদৃশ্য, অনুরূপ ও তুলনা থেকে মুক্ত।
উক্ত সূরা অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হযরত আবুল আলিয়া থেকে বর্ণিত যে, একদা খায়বারের কতিপয় ইয়াহুদী নেতা রাসূলুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলো আপনার রব সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন, তাঁকে কি দিয়ে বানানো হয়েছে? তখন হযরত জিবরাঈল (আ.) এসে বললেন হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনি আপনার রবের পরিচয় সম্পর্কে এ সূরা লোকদেরকে পাঠ করে শুনান। তিনি আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। (মাফাতীহুল গায়ব, খ: ১৮, পৃ: ১৭৬)
প্রথম আয়াতের তাৎপর্য: কুল, হুয়াল্লা-হু আহাদ, আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ, তিনি এক, এ আয়াতের অলৌকিকত্ব ও আসাধারণত্ব হচ্ছে প্রিয় নবীর নবুওয়াতের সত্যতার সাক্ষী। এ সংক্ষিপ্ত বাক্যে ব্যাপক বিস্তৃত রহস্য লুকিয়ে আছে। (তাফসীরে মাযহারী, খন্ড: ১৩, পৃ: ৩৫৬-৩৫৭) এ ছাড়াও এতে নবীজিকে সম্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে দ্বীনের তাবলীগ তথা দাওয়াতুল খায়র সত্যের প্রতি আহবানের ইংগিত করা হয়েছে। কুল শব্দের তাফসীরে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনি কাফিরদেরকে বলুন! আপনি বলার কারণে তারা যাতে আমার তাওহীদকে স্বীকার করে নেয়। আপনি হে প্রিয় হাবীব, আপনি মু’মিনদেরকে বলুন! অথবা সমগ্র বিশ্ববাসীকে বলুন, কেননা আপনি তো সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত। (তাফসীরে নুরুল ইরফান, পারা: ৩০, পৃ: ১৬৯০)
আয়াতে বর্ণিত “আল্লাহ” শব্দের ব্যাখ্যা:
আল্লাহ শব্দটি ইসমে যাত, অর্থাৎ মহান স্রষ্টার সত্তাবাচক নাম। আল্লাহ শব্দটির কোনো দ্বিবচন ও বহুবচন নেই।
“আল্লাহ” নামের পরিচয় প্রসঙ্গে আল্লামা সাদুদ্দীন তাফতাযানী (র.) বর্ণনা করেন, আল্লাহ সমস্ত প্রশংসার অধিকারী, অবশ্যম্ভাবী, অস্তিত্বময় সত্বার নাম। (মুখতাসারুল মা’আনী, পৃ: ৫)
আল্লামা আলী ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী আল জুরজানী বলেন, “আল্লাহ প্রকৃত ইলাহ’র নাম বাচক বিশেষ্য যা তাঁর অন্যান্য সুন্দর নামাবলীর মর্ম ও মহত্বের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।” (আত্‌তারীফাত, পৃ: ৫১)
আল্লাহর প্রতি সিজদাবনত হওয়াই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব: সিজদা একমাত্র আল্লাহরই জন্য। সিজদা তারই প্রাপ্য, যিনি সিজদার উপযোগী সত্বা, তিনিই আল্লাহ।
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আপনি কি দেখেননি যে, আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে, পৃথিবীতে, সৃর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, পর্বতমালা, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। (সূরা: হাজ্ব, পারা: ১৭, আয়াত: ১৮)
“আল্লাহ” এ সত্বাবাচক নামদ্বারা একক, অদ্বিতীয়, অনাদি, অনন্ত, সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা, একমাত্র অবিনশ্বর সত্বা, আল্লাহকেই বুঝায়। আরবি ভাষায় এর হুবহু অর্থজ্ঞাপক কোনো প্রতিশব্দ নেই। কুরআন মজীদে আল্লাহ নিজ পরিচয় স্বরূপ গুণবাচক সিফাতী নাম সমূহ এবং বিশেষ্য ও বিশেষণ উল্লেখ করেছেন, সবগুলো আল্লাহ নামের মধ্যে নিহিত রয়েছে। ইংরেজি “গড” বা ইশ্বর কোনটাই আল্লাহর সমার্থক হতে পারেনা। আল্লাহ নামের সাথে দ্বিত্ববাদ, ত্রিত্ববাদ বা অংশীবাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
(তাফসীর কবীরি, পৃ: ১৭৫-১৭৬)
সূরা ইখলাসের বিশটি নাম রয়েছে:
১. সূরা ইখলাস, খাটি, একনিষ্ট, অকপটে, তাওহীদের বর্ণনা বিষয়ক সূরা।
২. সূরা তাফরীদ, একক অদ্বিতীয় সত্বার বর্ণনা বিষয়ক সূরা।
৩.সূরা নাজাত, একত্ববাদ বিষয়ক।
৪. সূরা নাজাত, জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের সূরা।
৫. সূরা বেলায়ত, জন্মের ধারণামুক্ত।
৬. সূরা নিসবত, বংশধারামুক্ত বর্ণনার সূরা।
৭. সূরা মারিফাত, আল্লাহর পরিচিতি মূলক সূরা।
৮. সূরা জামাল, স্রষ্টার সূন্দর্যের বিকাশ।
৯. সূরা আল মুকাশশাফাহ, শিফা বিষয়ক সূরা।
১০. সূরা মুয়াওাযাহ, আশ্রয় প্রার্থনার বর্ণনা বিষয়ক।
১১. সূরা সামাদ, অমুখাপেক্ষীতার বর্ণনা।
১২. সূরাতুল আছাছ, তাওহীদের ভিত্তি।
১৩. সূরাতুল মা’নিআ, কুফর ও শির্কের প্রতিরোধক।
১৪. সূরাতুল মুহাদ্বর, ঈমানের সজীবতা।
১৫. সূরাতুল মুনাফফারাহ, কুফর ও শির্কের প্রতি ঘৃণা বিষয়ক।
১৬. সূরাতুল মুযাক্কারাহ, আল্লাহর স্মরণ বিষয়ক বর্ণনা।
১৭. সূরাতুল বারআত, জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা বিষয়ক।
১৮. সূরাতুন নূর, জ্যোতিময় সূরা।
১৯. সূরাতুল আমান, নিরাপত্তা প্রাপ্তির সূরা।
২০. সূরাতুত তাজরীদ তথা খালি হওয়া, অন্তর শির্কের ধারণামুক্ত থাকা।
(তাফসীরে সাভী)
“লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইয়ুলাদ” এর ব্যাখ্যা: আল্লাহর না কোন সন্তান আছে, না তিনি কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেছেন। আয়াতে আল্লাহর তাওহীদে অবিশ্বাসী, অস্বীকারকারী, অংশীবাদী, মুশরিকদের ভ্রান্ত ধারণার পূর্ণরূপে খন্ডন করা হয়েছে। একই সাথে ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের খন্ডন করা হয়েছে। মুশরিকগণ, আল্লহর সৃষ্টি ফিরিশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা বলে বিশ্বাস করতো, ইয়াহুদীরা হযরত ওযায়র আলাইহিস সালাম, খ্রীস্টানগণ হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহর পুত্র বলে ভ্রান্ত আক্বিদা পোষণ করতো। আয়াতে মহান আল্লাহ তাদের কুফরি বিশ্বাসকে চুড়ান্তরূপে খন্ডন করেছেন। (তাফসীরে নুরুল ইরফান, কৃত: হাকীমুল উম্মাত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী, পারা: ৩০, পৃ: ১৬৯১)
সূরা ইখলাসের ফযীলত: ১. হযরত ইমাম আহমদ (র.) উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা (রা). থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (তাফসীরে ইবনে কাছীর, একাদশ খন্ড, পৃ: ৬২৫)
২. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, সাত আসমান ও সাত জমীনের ভিত্তি সূরা ইখলাসের উপর অর্থাৎ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি আল্লাহর একত্ববাদ তাঁর পরিচয় ও পূর্ণ গুণাবলীর দলীল।
৩. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাস পাঠ করতে শুনেছেন, নবীজি এরশাদ করেছেন, ওয়াজিব হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করা হলো, কি ওয়াজিব হয়েছে? নবীজি বললেন, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল।(তাফসীরে ইবনে কাছীর)
সূরা ইখলাস’র আমল: হযরত মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর এগার বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে সে গুনাহের কাজে জড়িত হবেনা। যদিও শয়তান চেষ্টা করে।
(তাফসীর ফুয়ুজুর রহমান, কৃত: আল্লামা ফয়েজ আহমদ ওয়েসি (র.), পারা: ৩০, পৃ: ১১১৪)
হযরত আবুল কাসেম তাবরানী (র.) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কেহ ঘরে প্রবেশ করার সময় সূরা ইখলাস পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা তার ঘর ও তার প্রতিবেশী হতে দারিদ্র দূরীভূত করে দেন। (তাফসীরে ইবনে কাছীর, একাদশ খন্ড, পৃ: ৬২৮)
আল্লাহ তা’আলা আমাদের জীবনে এ বরকতময় সূরা র শিক্ষা ও তাৎপর্য অনুধাবন ও আমল করার তাওফিক নসীব করুন। আমীন।
অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম।
খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ ইমরান হোসাইন
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়’র নামকরণ ও এর প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে জানালে কৃতার্থ হব।

উত্তর: মুসলিম বিশ্বে ‘জামে আল আযহার’ প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। মিসরসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র আদরের কন্যা হযরত ফাতেমাতুজ জাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুা’র নামানুসারে আযহার নামকরণ করা হয়। আরবি শব্দ জাহরুন থেকে আজহার শব্দটি নির্গত। জাহরুন অর্থ ফুল, এ প্রতিষ্ঠানের সত্যান্বেষী শিক্ষার্থীরা সুগন্ধিময় ফুলতুল্য। জাওহার আস-সিকিল্লী ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে জামে আল আযহার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ফাতেমী শাসক ছিলেন। ইসলামের সঠিক আক্বিদা বিশ্বাস আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ ও শিক্ষা বিস্তারে জামে আল আযহার বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীরা আল আযহারে অধ্যয়ন করছে। আরবি কাব্য জগতের সম্রাট কবি আহমদ শওকী (১৮৬৮-১৯৩২ খ্রি.) এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। ইসলামি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে আল আযহারের অবদান অনস্বীকার্য। (আল আদাবুল আরাবী, আল হাদীস, কায়রো: মাকতাবাতুল কুল্লিয়াত আল আজহারিয়্যা, খন্ড:৪, পৃ: ২২)
শায়খুল আযহার পদমর্যাদাটি ইসলামী বিশ্বের গৌরবময় সম্মানজনক পদবি। (“আদ্‌দিরাসাতুর রিজভীয়্যাহ ফী মিসরীল আরাবিয়্যাহ” শীর্ষক প্রবন্ধ কায়রো, মে ১৯৯৮, ইমাম আহমদ রেযা আওর আলমী জামিয়াত, কৃত: প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মসউদ আহমদ, ১৯৯০ খ্রি.)

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরআন বুঝে পড়ার গুরুত্ব
পরবর্তী নিবন্ধ‘জাতির মেরুদণ্ড’ এবং হীনম্মন্যতার রাজনীতি