জুন পর্যন্ত উদ্বৃত্ত থাকবে ৩০ লাখ টন চাল

| বৃহস্পতিবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদা পূরণ করে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে তথ্য এসেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রির এক গবেষণা প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশে এ বছর অতিবৃষ্টিতে কয়েক দফা বন্যায় ৩৫টি জেলার আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সারা বছরের উৎপাদন ও চাহিদা বিবেচনা করলে দেশে খাদ্য ঘাটতির ‘আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই’। খবর বিডিনিউজের।
ব্রির ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা এম আব্দুল মোমিন বলেন, গত এক মাস ধরে দেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চলে জরিপ করে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। সারা দেশে চালের উৎপাদন কম এবং খাদ্য ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কার কথা যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, তা আদৌ ঠিক নয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ বছর আউশ, আমন ও বোরো মিলিয়ে মোট চাল উৎপাদন হবে ৩৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন টন। চাহিদা ও যোগানের অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ চালের চাহিদা মিটিয়ে ব্রির হিসাবে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
আব্দুল মোমিন বলেন, মাথাপিছু দৈনিক ৪০৫ গ্রাম চাল ধরে সর্বমোট ১৬ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার জন্য এই হিসাব করা হয়েছে। এছাড়া মোট ধান উৎপাদনের ২৬ শতাংশ ‘নন-হিউম্যান কনজাম্পশনের’ বাৎসরিক চাহিদা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে এ গবেষণা দলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুর রউফ সরকার, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল আজিজ, ইসমাইল হোসেন এবং প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।
এ গবেষণায় বাংলাদেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চল থেকে মোট ১ হাজার ৮০০ জন কৃষকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ১১২ জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে ধানের আবাদ ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত তথ্য নেওয়া করা হয়েছে। আমন ধানের আবাদকৃত এলাকার তথ্য বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ।
ধান উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে ব্রির সুপারিশ : আগামী বোরো মৌসুমে আবাদ নির্বিঘ্ন করতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে ব্রির গবেষণা প্রতিবেদনে। ব্রি বলছে, এ বছর যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে সেসব জায়গায় প্রয়োজনীয় বীজ, চারা ও সারসহ সকল উপকরণ যথাসময়ে সরবরাহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্রি, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএডিসি) সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওএলইডি ল্যাপটপ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৫২.০৯ কোটি টাকা