আগামী ৯–১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলবে জি–২০ সম্মেলন। এ বছরের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। কিন্তু ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বিষয়েও আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জি–২০ বা গ্রুপ অব টুয়েন্টি হচ্ছে কতগুলো দেশের একটি ক্লাব যারা বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য আলোচনা করতে বৈঠক করে। দেশগুলোর আওতায় বিশ্ব অর্থনীতির ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ। বিশ্বের দুই–তৃতীয়াংশ জনগণও রয়েছে এসব দেশে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও ১৯টি দেশ। এসব দেশ হচ্ছে–আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। খবর বাংলানিউজের।
স্পেন সব সময়ই অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ পায়। সম্প্রতি জি–২০ ভুক্ত দেশগুলোর আলোচনার পরিসর বেড়েছে। তাদের আলোচ্য সূচি শুধু অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই জ্বালানি, আন্তর্জাতিক ঋণ মওকুফ এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর করদানের মতো বিষয়ও আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। প্রতি বছর জি–২০ ভুক্ত কোনো একটি দেশ সভাপতির দায়িত্ব নেয় এবং সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় ঠিক করে। ২০২২ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিল ইন্দোনেশিয়া এবং জি–২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বালিতে।
২০২৩ সালের সভাপতি হিসেবে ভারত চায় দিল্লির এই সম্মেলন যাতে টেকসই উন্নয়নের প্রতি মনোনিবেশ করে এবং উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যাতে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে পদক্ষেপ আসুক। সম্মেলনে জোটবদ্ধ আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ও দারিদ্র নিরসনে বিশ্বব্যাংকের মতো বৈশ্বিক সংস্থার আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।