জাতিসংঘে বিপদসঙ্কেত শোনাল জলবায়ু সংকটের ফাঁদে পড়া দেশগুলো

| রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের সামনের সারিতে থাকা দেশগুলোর। এদের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ ভানুয়াতু, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি এবং এশিয়ার ফিলিপিন্স, পাকিস্তান চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে তাদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের অনুচ্চ দ্বীপপুঞ্জ ভানুয়াতু জীবাশ্ম জ্বালানির সমপ্রসারণ রোধ চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় বিশ্বের নজর ফেরানোর লড়াই জোরদার করেছে। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভানুয়াতুর প্রেসিডেন্ট নিকেনাইক ভুরোবরাভু বলেছেন, সময় শেষ, এখন পদক্ষেপ প্রয়োজন। তার প্রস্তাবিত চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখতে কয়লা, তেল ও গ্যাসের উৎপাদন কমিয়ে আনা। বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেন প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল প্রতিটি দেশ, সমপ্রদায় ও কর্মীর ন্যায্য রূপান্তর প্রক্রিয়া সচল করবে, বলেছেন কার্বন- নেগেটিভ দেশ ভানুয়াতুর প্রেসিডেন্ট ভুরোবরাভু। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকারি প্যানেল ইতোমধ্যে সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ যে পথে রয়েছে তাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা তো টপকাবেই, এ শতাব্দীর শেষনাগাদ তা ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তরাখণ্ডে রিসোর্টে তরুণী খুন, বিজেপি নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধপরমাণু অস্ত্র নিয়ে পুতিনের হুঁশিয়ারি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত : ইইউ