পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পুতিনের হুঁশিয়ারি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত : ইইউ

| রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেন যুদ্ধে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সেটিকে ‘ধাপ্পা’ না ভেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বরং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত বলে মনে করেন ইইউর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধ ‘বিপজ্জনক মোড়ে’ দাঁড়িয়ে আছে। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ জন্য চাই আরও সেনা। তাই পুতিন দেশের তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়া অঞ্চলে গণভোট শুরু হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ভোট আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। গণভোটের রায় পক্ষে এলে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ অংশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করার সুযোগ পাবে। যদিও ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে একাধিক এলাকায় সম্প্রতি রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে আট হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা উদ্ধার করেছে। ইউক্রেন সরকার একে তাদের বিজয় হিসেবে দেখছে।
এ বিষয়ে বোরেল বলেন, নিশ্চিতভাবেই এটা একটি বিপজ্জনক মুহূর্ত। কারণ, রুশ বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় পুতিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছেন….এটা খুবই খারাপ। অবশ্যই ‘কূটনৈতিক উপায়েই’ এই যু্‌দ্ধ অবসানের পথ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন বোরেল। তিনি বলেন, একমাত্র এভাবেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা সম্ভব হবে। নতুবা, আমরা যুদ্ধ ঠিকই শেষ করতে পারবো। কিন্তু আমরা শান্তি ফিরে পাব না বরং সামনে আরেকটি যুদ্ধ আমাদের পেতে হবে।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বিরল এক ভাষণে পুতিন বলেন, আমাদের হাতে ‘ধ্বংসাত্মক অনেক রকম অস্ত্র আছে‘। এবং আমাদের হাতে যতগুলো উপায় আছে তার সবই ব্যবহার হবে। আমি ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছি না।
এ বিষয়ে বোরেল বলেন, যখন কেউ বলেন তিনি ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন না তখন আপনাকেও বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতিসংঘে বিপদসঙ্কেত শোনাল জলবায়ু সংকটের ফাঁদে পড়া দেশগুলো
পরবর্তী নিবন্ধব্রিটেনের রানির চেয়ে অ্যাবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্যয় কেন বেশি?