জলাতঙ্ক ভয়ের বিষয় নয় সচেতনে রক্ষা পাওয়া সম্ভব

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, কুকুর বা সন্দেহভাজন জলাতঙ্ক গ্রস্ত প্রাণি দ্বারা আক্রান্তের পর রোগীর দেহে সৃষ্ট ক্ষতস্থান খুব দ্রুত ক্ষারযুক্ত সাবান ও প্রবাহমান পানি দ্বারা ১৫ মিনিট ধৌত করা হলে সেখানে নিপতিত রেবিস ভাইরাস অপসারিত বা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করেই প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ ভয়ংকর ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। জলাতঙ্ক এখন পূর্বের মতো ভয়ের বিষয় নয়, বরং মানুষ সচেতন হলেই এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২২ উপলক্ষে র‌্যালি পরবর্তী সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসির জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সাথে সমন্বয়।’
তিনি বলেন, ঘাতক ব্যাধি জলাতঙ্কের প্রধান বাহক কুকুর। এছাড়া বিড়াল, বেজি ও শিয়ালের আঁচর-কামড় থেকেও এ রোগ হতে পারে। জলাতঙ্ক একদিকে শতভাগ বিপজ্জনক হলেও তা শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। আক্রান্তের পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক যথাসময়ে এন্টিরেবিস টিকা প্রদান করে প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা যেতে পারে।

আলোচনা সভা ও র‌্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, ইপিআই সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. হামিদ আলী, এমটিপিআই কাজল পাল, প্রধান সহকারী (প্রেষণে) সাহিদুল আলম, প্রধান সহকারী মো. আবু তৈয়ব, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মাসুদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ প্রবীর মিত্র, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটু পাল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মো. নূর হোসেন, পরিসংখ্যানবিদ উশ্রী দাশ গীতা, পিএটু সিভিল সার্জন মফিজুল আলম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তাপস রায় চৌধুরী, স্টোর ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম, এন্টোমনোজিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. মাঈনুদ্দিন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শক্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য পরিদর্শক রীনা ভট্টাচার্যসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীবৃন্দ।
চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও সিভাসু : চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ বিভাগ এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) উদ্যোগে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. নুরুল আফসার। সিভাসুর ডিন প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভাসুর প্রফেসর ড. আব্দুল আহাদ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ চট্টগ্রামের পরিচালক ও ড.একেএম হুমায়ুন কবির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহেদ চৌধুরী, সিভাসু ভেটেরিনারি ক্লিনিক পরিচালক প্রফেসর ড. রায়হান ফারুক ওয়ান হেলথ প্রফেসর ড.শরমিন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতুভুষন দাস ও প্রফেসর ড.পরিতোষ কুমার বিশ্বাস।
বক্তারা ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক নির্মূলে বেওয়ারিশ কুকুরসহ কুকুর ও বিড়ালে টিকা প্রদান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। স্থাস্থ্য বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সমন্বয়ে এ রোগ নির্মূল করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএম ডিপো পরিদর্শনে এইচঅ্যান্ডএম ও মার্সক লাইনের প্রতিনিধিদল
পরবর্তী নিবন্ধসেন্ট প্ল্যাসিডস স্কুলে আইসিটি কুইজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা