সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি কামরুল সিকদার প্রকাশ মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার নিরাপত্তা চেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেছেন। গতকাল ১ জুন বেলা দেড়টায় তিনি উক্ত জিডি করেন। থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কী জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-২০১৬ সালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পান্না আক্তারকে বিভিন্ন মুঠোফোন নাম্বার থেকে ফোন করে হুমকি দেন। তিনি ওই সময় মুঠোফোনের নাম্বারগুলো সংরক্ষণ করতে পারেননি। গত সোমবার আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কারণে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাঁর ক্ষতি করতে পারে, সেই আশংকায় তিনি জিডি করেছেন।
উল্লেখ্য, মুছার স্ত্রী গত সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালে ওই হত্যাকাণ্ডের পর কিছুদিন পালিয়ে থেকে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তবে যেদিন মুছা আদালতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেদিনই গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীতে দিনের বেলায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। পাঁচ বছর পর আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন বাবুল আক্তার। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই তদন্তে মুছার নাম আসে। বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে দায়িত্ব পালনকালে তাঁর সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন মুছা। এ হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ দুয়েক পর থেকে এ পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন মুছা।
