জনগণকে সেবা প্রদান নিশ্চিতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

| সোমবার , ৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা (কর্মকর্তাগণ) সবসময় মাথায় রাখবেন, জনগণ যেন আপনাদের সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি গতকাল রাজধানীর শাহবাগ বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২১, ১২২ ও ১২৩ আইন ও প্রশাসন কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা তরুণ কর্মকর্তাদের যেখানে পোস্টিং দেয়া হবে সে স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে এবং স্থানীয়দের ভাগ্য, জীবন ও জীবিকার উন্নয়নের ব্যাপারে সবসময় চিন্তা-ভাবনা করার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আপনাদের (প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের) দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার সর্বোচ্চ সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই তরুণ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাঠ পযায়ে কর্ম অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে উচ্চতর পদ লাভের পর তারা বাস্তবিকভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাই বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার সরকারের গৃহীত ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ সিভিল সার্ভিস তার সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অন্যতম সহযোগী হাতিয়ার। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিই প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করে। আমরা চাই আপনারা আপনাদের জ্ঞান, মেধা এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন ও জনগণের সেবা করবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত দ্বিতীয় বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যদি দ্বিতীয় বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে পারতেন, তাহলে দশ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু সর্বদা জনগণের সেবা করার জন্য সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি যে একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের উচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসামপ্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার চেতনা নিয়ে কাজ করা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন শুরু করলেও তাকে হত্যার পর তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এখন তার সরকার দেশের কোনো মানুষ যাতে গৃহহীন ও ঠিকানাহীন না থাকে তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাটির প্রলেপে ঢাকা বিটুমিনের সড়ক
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬