ছেলে-মেয়ে নাতির সাথে পাস করলেন সিরাজুল

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | সোমবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

লেখাপড়ার যে কোনো বয়স নেই ৫০ বছর বয়সে তা প্রমাণ করলেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি সব ধরনের ভয়, সংকোচকে পেছনে পেলে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ২.১৪ পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন। সিরাজুল ইসলাম মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে তিনি এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
শুধু সিরাজুল ইসলামই নন, চলতি বছরে তাঁর বড় মেয়ের ঘরের বড় নাতি মো. নাজমুল হাসান জিপিএ ৪.৬৭ এবং ছোট মেয়ে মাহমুদা সিরাজ জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। একমাত্র ছেলে হাফেজ নেছারুদ্দীন আহমদ জিপিএ ৪.০০ পেয়ে চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছেন।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বাবা-ছেলে-মেয়ের পাসের খবরে আনন্দের বন্যা বইছে সীমান্ত ঘেষা আছালং ইসলামপুর এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে। এ সময় প্রতিবেশী ও স্বজনরা অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসেন। স্বজনদের কেউ কেউ নিয়ে আসেন ফুল ও মিষ্টি। তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। তাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা।
ছোট মেয়ে মাহমুদা সিরাজ বাবার এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায় যে সাফল্য এনে দিতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত আমার বাবা। আমাদের ভাই-বোনের ফলাফলের চেয়ে বাবার ফলাফলে আমরা গর্বিত।
দীর্ঘ বিরতির পর লেখাপড়ার তাগিদ অনুভব করলেন কেন জানতে চাইলে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। ফলাফল ঘোষণার পর ছেলে-মেয়ে আর নাতির সাথে নিজের কৃতিত্বের খবর পাওয়ার সময়টা আমার জীবনের সবচেয়ে সুখকর মুহূর্ত, এটা কখনো ভুলে যাবার মত নয়। নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যাবার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সবাই চাইছে আমি লেখাপড়া অব্যাহত রাখি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ থামছে না
পরবর্তী নিবন্ধআজ বসন্তের আমন্ত্রণে