ছাদ থেকে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ চবি ছাত্রলীগ কর্মীর

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

নিজ গ্রুপের কর্মীদের দ্বারাই মারধরের শিকার হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক বিজয় গ্রুপের এক কর্মী। এ সময় তাকে আবাসিক হলের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে চবির এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর রুমে মারধরের শিকার হয় আশিকুজ্জামান জয়। তিনি চবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় কেনএমন অভিযোগ তুলে আশিকুজ্জামান জয় নামের ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মিয়া (আতিশ ফয়সাল), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তনয় কান্তি সরকার, ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের রাসেল রাজসহ ১৫ থেকে ২০ জন। তারা সবাই ২০১৮১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী আশিকুজ্জামান জয় বলেন, ইলিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেন খারাপএমন প্রশ্ন করেই তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এতে অভিযুক্তরাসহ আরও ১৫২০ জন মিলে আমাকে মারধর করেন। তারা আমার ৪৪০ নম্বর রুমে এসে হত্যার চেষ্টা করে। লাঠি, রড, হকিস্টিক এবং চেয়ার দিয়ে আমাকে মারধর করা হয়েছে। একপর্যায় হলের ছাদ থেকে ফেলে দিতে গেলে আমি কোনোমতে দৌঁড়ে পালিয়ে যাই। আশিক আরও বলেন, পরে হলের গেটে আবার মারধর করা হয় যখন আমাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সেটার প্রমাণ মিলবে। আমি হলের ২ জন সিনিয়রের সহযোগিতায় মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিই। জানি না কবে সুস্থ হব। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছিলাম, স্যার আমাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দেব।

অভিযুক্ত তনয় কান্তি সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আশিক নেশা করে। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে সবার সঙ্গে তর্ক করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হালকা মারধর করেছিল বাকিরা। আমি যতটুকু সম্ভব তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। এ বিষয়ে জানতে বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

চবির সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় বলেন, ঘটনার সময় প্রক্টরিয়াল বডি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি আমরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে এলোপাতাড়ি কু’পিয়ে হ’ত্যা
পরবর্তী নিবন্ধহাতে হাতে চন্দনাইশের ঐতিহ্যবাহী হাতপাখা