চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতের আরআইএস’র প্রতিনিধিদের মতবিনিময়

| শুক্রবার , ৭ জুলাই, ২০২৩ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

ভারতের মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল এফেয়ার্স এর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (আরআইএস)’র সহকারী অধ্যাপক ড. পানকৌড়ি গৌর ও রিসার্চ এসোসিয়েট রানা আমানত সিং গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এতে চিটাগাং চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালকবৃন্দ মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), এস. এম. তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ এবং রিলায়েন্স এসেট্‌স্‌ এন্ড ডেভেলাপমেন্টস (বিডি) লিঃ’র পরিচালক ওমর মুক্তাদির আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

চেম্বার সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভৌগোলিক কারণে চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। ক্রমবর্ধমান আমদানিরপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামাল দিতে সরকার বেটার্মিনাল প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আগামী ২৩ বছরের মধ্যে এখানে ৪ বিলিয়নের অধিক বিনিয়োগ আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের নৌ যোগাযোগ থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। তাই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য খরচ ও সময় হ্রাস করতে নৌ যোগাযোগের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। এছাড়া কোলকাতা বন্দরে বাংলাদেশের জন্য আলাদা জেটি নির্মাণ এবং এ অঞ্চলের সাথে চট্টগ্রাম, মংলা ও পানগাঁও বন্দরের সাথে সরাসরি নৌ যোগাযোগ বাড়ানো গেলে বাণিজ্য খরচ ও সময় কমবে। এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিনিধিদলকে আহবান জানান। তিনি আরো বলেনবাংলাদেশের সাথে ভারতের রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতি দূর করার জন্য প্রথমত ননট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা, দু’দেশের স্থলবন্দরসমূহের অবকাঠামো খাতের আধুনিকায়ন, রুলস অব অরিজিন’র সহজীকরণ এবং স্থল বন্দর সমূহে আধুনিক ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যে সকল কৃষি পণ্য রপ্তানি হয় তার অধিকাংশই স্থল বন্দরগুলোতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকে টেস্টিংয়ের জন্য। ভারতের কেন্দ্রীয় মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রের পর ওইসব পণ্য প্রবেশ করে। একই ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসার সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তাই এক্ষেত্রে যেই দেশ থেকেই পণ্য রপ্তানি করা হোক না কেন কমন টেস্টিং সনদের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো গেলে বাণিজ্য আরো সহজ হবে। আরআইএস’র ড. পানকৌড়ি গৌর বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কৃষি ক্ষেত্রে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। মিঠা পানির মাছ, ফল, আলু ও অন্যান্য সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক অগ্রসর। এসব পচনশীল দ্রব্যের আমদানিরপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে পাশাপাশি দেশ হয়েও ভারতের সাথে সহজে বাণিজ্য সংঘটিত হচ্ছে না। এ জন্য ননট্যারিফ ব্যারিয়ার দূরীকরণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন নিশ্চিত করলে উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বিমসটেকভূক্ত দেশগুলো কিভাবে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে খাদ্য রপ্তানি করতে পারে সেই বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারী ওলামা পরিষদের সাধারণ সভা
পরবর্তী নিবন্ধহাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নোমান