চেমন আরা তৈয়ব কাজের মাধ্যমে নারী জাতির গর্বে পরিণত হয়েছেন

চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা

| শনিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২২ at ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, চেমন আরা তৈয়ব একজন বিদগ্ধ রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, মানবদরদী। তিনি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি সমাজের বাধা পেরিয়ে কাজের মাধ্যমে নারী জাতির গর্বে পরিণত হয়েছেন। তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম একাডেমির পৃষ্ঠপোষক ও জীবন সদস্য, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব’র সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাবেক মহাপরিচালক কবি অরুণ শীল। বক্তব্য রাখেন একাডেমির পরিচালক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, প্রথম আলোর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক কবি ওমর কায়সার।

অনুভূতি ব্যক্ত করে সম্মাননাপ্রাপ্ত অতিথি চেমন আরা তৈয়ব বলেন, আমি এ সম্মান পেয়ে অভিভূত, উদ্বেলিত। এ সম্মান চট্টগ্রাম একাডেমিকে উৎসর্গ করলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায়, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনে এগিয়ে আনার জন্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছি। আমি চট্টগ্রামের প্রথম নারী হিসেবে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামে চারটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছি। এখান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেক গরিব অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াস চালিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৯৮০ সালে বাকলিয়ায় জনৈক ব্যক্তির দান করা ২৪ শতাংশ জায়গা উদ্ধার করেছি। আমরা চাই সবার সহযোগিতায় একযোগে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে। চট্টগ্রাম একাডেমির জন্যও আমি কাজ করতে চাই।

আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এস এম আবদুল আজিজ, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী, কথাসাহিত্যিক মিলন বনিক, লেখক এস এম মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী, পৃষ্ঠপোষক সদস্য কবি মাহবুবা চৌধুরী, পৃষ্ঠপোষক সদস্য লেখক কাসেম আলী রানা, শিশুসাহিত্যিক আবুল কালাম বেলাল ও একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের নিয়ে সভাপতি আনোয়ারা আলম চেমন আরা তৈয়বের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। প্রফেসর রীতা দত্ত চেমন আরা তৈয়বকে অনন্য গুণীজন আখ্যায়িত করে বলেন, পটিয়া শিক্ষায় দীক্ষায় সাহিত্য সংস্কৃতিতে অনন্য। এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক মনীষী ও গুণী ব্যক্তিত্ব। তাদেরই উত্তরাধিকারী হিসেবে একজন গুণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে তিনি নারীদের স্বাবলম্বীকরণে, সমাজের উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কবি ওমর কায়সার ‘তোমাকে রুখবে কারা/বলোতো চেমন আরা’ পঙক্তিমালা তুলে ধরে বলেন, গুণীজন চেমন আরা তৈয়ব অমিত সাহসী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি মনের জোরেই সমস্ত বাধা বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে আজকের এ অবস্থানে উঠে এসেছেন। এটা আমাদের সমাজের জন্য বড় প্রাপ্তি। তিনি উপস্থিত দর্শকদের ‘জোনাকি মানুষ’ আখ্যায়িত করে চেমন আরা তৈয়বের উদ্দেশ্যে বলেন, স্ব স্ব ক্ষেত্রে আলোকিত এসব সৈনিককে নিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে সভা
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে পাঁচ ব্যবসায়ীকে জরিমানা