চিকা মারাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

চবি ছাত্রলীগ

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আবাসিক হলের দেয়ালে চিকা মেরে আধিপত্য বিস্তার এবং হল দখলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ। সংঘর্ষ চলাকালে চবির এ এফ রহমান হলের প্রায় ৫০টি কক্ষ ভাঙচুর করেছে উভয় পক্ষ। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এসময় একজন সহকারী প্রক্টরকে হেনস্তা করে বিজয়ের কর্মীরা। এছাড়া সাংবাদিকদের উপর রামদা নিয়ে চড়াও এবং হত্যার হুমকি দেয় বিজয়ের কয়েকজন কর্মী। এসময় প্রকাশ্যে উভয় পক্ষের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এসব ঘটনা ও যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মারুফ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বগি ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও এখনও বগি ভিত্তিক উপগ্রুপগুলো সক্রিয় রয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসে আজ পর্যন্ত কোনো গ্রুপ অন্য গ্রুপের চিকা মুছে ফেলছে এমন নজির নেই। কিন্তু গতকাল এএফ রহমান হলে আমরা কিছু জায়গায় চিকা মারার পর বিজয়ের অনুসারীরা সেগুলো মুছে দেয়, সেখান থেকেই মূলত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিজয়গ্রুপের অনুসারীদের একাধিকবার অতর্কিত হামলায় আমাদের ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ায় বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ও বিজয়ের একাংশের নেতা নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা মহ্বিুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইয়ের নির্দেশে বিষয়টি মিটমাট করেছি। এছাড়া শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপরে যারা চড়াও হয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের দুুটি পক্ষের মধ্যে চিকা মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হাটহাজারী থানা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন ছিলো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশিরভাগ বিভিন্ন দায়িত্বে থাকার কারণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি।

আমরা যখন বিষয়টি মিটমাটের জন্য দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম ঠিক তখনই একটি পক্ষ হলের পেছনের গেইট ভেঙে বিভিন্ন রুম ভাংচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে যারা জড়িত একটি তদন্ত কমিটি করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। পাশাপাশি হলের দেয়ালে থাকা সকল গ্রুপের চিকা মুছে দেব আমরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম এখন উৎসবের নগরী
পরবর্তী নিবন্ধআল্লামা তাহের শাহ হুজুরের সহধর্মিণীর ইন্তেকাল