চলুন ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি

পারভীন রব্বানী | বুধবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

অল্প অল্প হিম পড়া এই মিষ্টি সময়টা বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। বদ্ধ ঘরে থাকতে থাকতে আমাদের মনে ক্লেদ জমে, হাহাকার সৃষ্টি হয়, মনের ভিতরটা শুকিয়ে যায়। ভ্রমণই একমাত্র পারে শক্তি ও ভালোবাসা ফিরিয়ে এনে জীবনকে সঞ্জীবনী সুধায় উজ্জীবিত করতে। ভ্রমণ নতুন উদ্যম এবং প্রাণশক্তি সৃষ্টি করে। সুফি দার্শনিক জালালউদ্দিন রুমী বলেছেন, “দুই ব্যক্তি কখনো সন্তুষ্ট নয়বিশ্বকে যে ঘুরে দেখতে চায় আর যে আরো জ্ঞান অর্জন করতে চায়।

যখনি আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি, পাখা মেলে উড়তে ইচ্ছে করে….পৃথিবীর সব সৌন্দর্য, রূপ, রস, গন্ধ যেন চোখের সামনে নতুন দিগন্ত মেলে ধরে। দেশে হোক, বিদেশে হোক….সময় সুযোগ পেলেই আমরা যেনো বেরিয়ে পড়ি। নতুন নতুন জিনিস দেখার সাধ, ইতিহাস, অভিজ্ঞতা, আনন্দ জীবনকে ঝরনার ফল্‌গুধারার মতো সবুজ, সজীব, প্রানবন্ত করে তোলে। অনেকের ধারণা আছে যে, ভ্রমণ করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। বিশেষ করে বিদেশ ভ্রমণে। কিন্ত সব সময় তা নয়। মনে সৎ সাহস এবং অদম্য আকাঙ্খা থাকলে সুযোগ হয়েই যায়। আমরা অল্প অল্প টাকা জমিয়ে দেশের বাইরে অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারি।

আর দেশের মধ্যে এতো সুন্দর সুন্দর ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈশিষ্ট্য জায়গা আছে যে যেগুলি দেখতে দেখতে জীবন ফুরিয়ে যাবে। আর খরচও কম হবে। আমাদের দেশের কিছু লোক আছে যারা ক্লাব, পার্টি এবং আজে বাজে কাজে প্রচুর অর্থ নষ্ট করে। তা না করে পরিবার পরিজন নিয়ে দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে পরিবারকে কাছে পাওয়ার সাথে সাথে নিজের আত্মারও শুদ্ধি হয়। মন আনন্দে পরিপূর্ণ থাকে। মহান একজন পৃথিবীতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিস্তৃত বনভূমি, সমুদ্র, নদীনালা, নয়নাভিরাম বিবিধ উদ্ভিদ রাজি, নানারকম পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী পরিভ্রমণ করলে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি, আচার ব্যবহার, চাল চলন, রীতিনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি থেকে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারি। ভ্রমণের আনন্দ কুসংস্কার, গোঁড়ামি এবং সংকীর্ণতার উর্ধ্বে যেয়ে মনকে উদার করে তোলে।

বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতা বলেছেন, ‘ভ্রমণ বাকরুদ্ধ করে, তারপর গল্পকারে পরিণত করে।’ আসলে সত্যি তাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমার সমাজ আমি সাজাবো
পরবর্তী নিবন্ধবাংলা হোক আমাদের হৃদয়ের সুর