চর্চাটা স্বীকৃতির চাইতে অনেক বড়

তসলিম খাঁ | শনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

আমরা জানি, পুরস্কার হচ্ছে এক ধরনের স্বীকৃতি। একটা কাজের একটা অবদানের, একটা অর্জনের। একটি পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং শ্রদ্ধাশীলতা নির্ভর করে তার সততা ও বিশুদ্ধতার ওপরে। পুরস্কার ‘কী, কেন, কাকে ও কোথায়’ এ সততা ও বিশুদ্ধতার কেন্দ্রবিন্দু এবং সেই সঙ্গে পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা ও শ্রদ্ধাশীলতার জন্য অপরিহার্য।

 

এক্ষেত্রে একজন লেখকের কথাই ধরি। তিনি যদি মনে করেন, তাঁর কাজের স্বীকৃতি পাওয়া জরুরি না, জরুরি তাঁর চর্চাটা চালিয়ে যাওয়ার শুধুমাত্র ন্যূনতম সুযোগটা। তাহলেই আমরা আরো কিছু ভালো উপহার পেতে পারি তাঁর থেকে।

আর একটা সময় এমনিতেই তাঁকে স্বীকৃতির দেবার প্রয়োজন হয়ে পড়ে এবং তাই হওয়াটাও উচিত। সাহিত্যসহ নানান ক্ষেত্রে প্রতিভাবান মানুষ রয়েছেন। কতজন পাচ্ছেন তাঁর স্বীকৃতি! এ ক্ষেত্রে আমি অবাক নই হতবাকও নই, কারণ তাঁরা কি থেমে গেছে স্বীকৃতি না পেয়ে! স্বীকৃতি পেলেই তো সে ক্ষেত্রে ঐ কাজে দায়বদ্ধতা বেড়ে যাবে। চর্চাটাকে আর শীতল করার মতো পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এই ক্ষেত্রে চর্চাটা আসল, স্বীকৃতিটা বড় নয়। যদিওবা আমি এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে এতটুকুনই ভাবছি। হয়তবা ব্যতিক্রমও হতে পারে সেটাও কিন্তু অমূলক নয়।

স্বীকৃতজন তাঁর প্রাপ্তির পর ভার ঝুড়িটা বহন করাও অনেক সময় কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাঁকে তো আগের তুলনায় বেশ ফেরি করতে হবে। যিনি স্বীকৃতি পান একমাত্র তিনি জানেন তাঁর সেই কর্ম বা চর্চার ক্ষেত্র।

যদিওবা একজন লেখকের সচেতন পাঠক ও বোদ্ধাজনও চান তাঁর স্বীকৃতি।সে কারণে আমি মনে করি স্বীকৃতি একটা পদের মত। পদ পদবি পেলে যেমন সে কাজে তাঁর আরো কর্মজজ্ঞ বেড়ে যায়, ঠিক সেরকম।

আবার তার মানে এও নয়, স্বীকৃতি প্রার্থীকে বা তাঁকে সান্ত্বনা দেবার প্রচেষ্টা করছি। সেটা ধরে আমাকে ভুল বুঝলে খুঁজতে হবে পিছনে ফেলে আসা তাঁর কাজের মূল্যায়নের কথা। এ পর্যন্ত কতজন মানুষ তাঁদের নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন! স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, তাও বলতে পারবো না।তাই আমি মনে করি, চর্চাটা স্বীকৃতির চাইতে বড়, অনেক বড়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবসন্ত বরণ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রশ্ন