চমেক হাসপাতালে হচ্ছে শিশু ক্যান্সার ও হেমাটোলজি বিভাগ

আগামী মাসের শুরুতে কার্যক্রম চালু

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৩ জুলাই, ২০২২ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

শিশু ক্যান্সার ও হেমাটোলজি বিভাগ নামে আরো একটি নুতন বিভাগ চালু হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এতদিন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে একটি ইউনিট হিসেবে এর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলছিল। তবে এখন সম্পূর্ণ আলাদা ও পূর্ণাঙ্গ বিভাগ হিসেবে শিশু ক্যান্সার ও হেমাটোলজির চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলার বিদ্যমান শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আলাদা করে এনসিলারি ভবনের ৫ তলায় নতুন এ বিভাগ প্রস্তুত করে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় এবং বিশেষায়িত ভাবে আরো ভালো চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রয়াসে শিশু ক্যান্সার ও হেমাটোলজি নামে নতুন এ বিভাগ স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। এনসিলারি ভবনের ৫ তলায় বিভাগটি প্রস্তুত করে তোলা হচ্ছে জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, এখন কাজ চলছে। আগস্টের শুরুতে নতুন এ বিভাগে রোগী ভর্তির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।
এদিকে, নতুন বিভাগটি স্থাপনে সহযোগিতা করছে সানশাইন চ্যারিটি। বিভাগের জন্য দশটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি (সানশাইন চ্যারিটি) সানশাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমানের একটি প্রতিষ্ঠান। অবশ্য আগে থেকেই চমেক হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন ভাবে এই চ্যারিটির মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছেন তিনি। সাফিয়া গাজী রহমান নিজেও ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফিরে আসা এই নারী ক্যান্সার সারভাইভার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে সাফিয়া গাজী রহমান আজাদীকে বলেন, ক্যান্সার জয় করার পর থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রোগীদের জন্য কিছু একটা করার তাড়না কাজ করছিল। সে-ই তাড়না থেকেই আমার এ চেষ্টা। বেশ কয়বছর ধরে চমেক হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার রোগীদের ওষুধ-যন্ত্রপাতিসহ যখন যা লাগে, তা দিয়ে সেবা-সহযোগিতা করে আসছি। এটুকু করতে পেরে নিজের ভিতরে এক ধরণের ভালো লাগা কাজ করে বলেও জানান ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরা সাফিয়া গাজী রহমান।
বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসায় সানশাইন চ্যারিটি এবং সাফিয়া গাজী রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম।
শুরুতে ২০ শয্যা নিয়ে বিভাগটির কার্যক্রম চালু হচ্ছে জানিয়ে শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম বলেন, আমরা ২০ শয্যা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। বিভাগের জন্য আরো চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ লাগবে। আমরা হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়কে চাহিদা জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা করবেন। আগামী মাসের শুরুতে নতুন এ বিভাগের কার্যক্রম চালু করা যাবে বলেও জানান শিশু ক্যান্সার রোগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোডশেডিংয়ের পরের পরিকল্পনা সপ্তাহখানেক পর
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ দিন পর বিচার চাইল চবি শিক্ষক সমিতি