চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ–২০২৩ এর নির্বাচনে ১১ পদে বিপরীতে হলুদ দল মনোনীত প্রার্থী ৭টি পদে এবং একই দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪টি পদে জয় লাভ করেছেন। এতে ৩৪৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হলুদ দল মনোনীত প্রার্থী রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী এবং ৩৫০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হলুদ দলের প্রার্থী ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন। এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১১টি পদের বিপরীতে এবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ২৪ জন প্রার্থী। হলুদ দল মনোনীত ১১ প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই একই দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। গতবারের মতো এবারও নির্বাচনে ছিল না বিএনপি–জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ও বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সহ–সভাপতি পদে ৩৬৪ ভোট পেয়ে হলুদ দল মনোনীত নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে ৩৮১ ভোট পেয়ে হলুদ দলের একাউন্টিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৬৭ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন। এছাড়া নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হলুদ দল ও স্বতন্ত্র থেকে তিনজন করে নির্বাচিত হয়েছেন।
তারা হলেন– স্বতন্ত্র প্রার্থী আইন বিভাগের প্রফেসর ড. রকিবা নবী ৪০৭ ভোট, হলুদ দল মনোনীত বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ৩৮৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মো. দানেশ মিয়া ৩৭৯ ভোট, হলুদ দল মনোনীত মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া ৩৬৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম ৩৫৭ ভোট এবং হলুদ দল মনোনীত জেনেটিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা ৩৫১ ভোট পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রত্যেকেই যথেষ্ট যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। পুরোপুরি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং খুবই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদে পদ রয়েছে মোট ১১টি। এগুলো হলো একজন সভাপতি, একজন সহ–সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম সম্পাদক ও ছয়জন সদস্য।