চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের নমুনায় ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। খবর বাসসের। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল পাঠানো রিপোর্টে এ তথ্য মিলে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল বুধবার ১৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত দশ জীবাণুবাহক ব্যক্তির মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮ ও গ্রামের ২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাই ও সন্দ্বীপের একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৭১২ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৮২৫ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৮৭ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এখানে শহরের ২ ও গ্রামের একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সরকারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৩ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২ টি নমুনার একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৯, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৮ টি নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা হয়। ৫ ল্যাবে পরীক্ষিত ৩৮ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজন আক্রান্তও শনাক্ত হয়নি।
