চট্টগ্রামের ৬ ইটভাটা মালিককে আদালত অবমাননার নোটিশ

উচ্ছেদ কার্যক্রমের বিপক্ষে কর্মসূচি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১ মার্চ, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ৬ ইটভাটা মালিককে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। গতকাল রোববার ডাকযোগে ৬ ইটভাটা মালিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। চট্টগ্রাম জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, সেক্রেটারি সেকান্দর মিয়া, লোহাগাড়া ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির সভাপতি আবিদ হাসান মানু, সেক্রেটারি ছরওয়ার কোম্পানি, পশ্চিম সাতকানিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম প্রকাশ লেদু চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারি মো. হাসান লিটনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়। জানা যায়, পরিবেশ রক্ষায় চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে আদালতে রিট দায়ের করেন এইচআরপিবির অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামিমমের দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন।
এরপর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করলে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ১০১ জন ইটভাটা মালিক ৬টি আপিল দায়ের করেন। আপিলগুলো আলাদা শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত বা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কোনো আদেশ প্রদান করেননি। এরপর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে ৩১ জানুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আবারও আদেশ দিয়ে নির্দেশ পালনের প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেন হাই কোর্ট।
এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে চলমান অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি। এ সময় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ করে দেন তারা।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি, আদেশ অকার্যকর করার জন্য বিভিন্ন ইটভাটা মালিক সমিতির নামে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, সংবাদ সম্মেলন করে আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে ইট বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার মাধ্যমে আদেশ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের আর্টিকেল ১১১ ও ১১২ অনুসারে রায় মানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর্টিকেল ১০৮ অনুসারে আদালতের রায় অমান্য বা প্রতিবন্ধকতা আদালত অবমাননার শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেহেতু হাই কোর্টের আদেশে চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সুতরাং উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা ও কর্মকাণ্ড আদালত অবমাননার শামিল। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও আদেশ পালনে প্রতিবন্ধকতা বন্ধ করে তা অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নতুবা তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকই স্থানে একাধিক ট্রাফিক বক্স কেন?
পরবর্তী নিবন্ধশিবির ক্যাডার নাসিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেনি কেউ