চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেবায় দিনে দিনে অনন্য হয়ে উঠা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবার হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মাইলস্টোন স্পর্শ করতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় সিসিইউ (করোনারী কেয়ার ইউনিট) প্রতিষ্ঠা করেছে। আগামীকাল (শনিবার) এই সিসিইউ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেক্টরে নানা সংকটের মাঝে হৃদরোগ চিকিৎসার সংকট সবসময়ই প্রকট। বিশেষ করে ক্যাথ ল্যাব, মডিউলার ওটি কিংবা সিসিইউর জন্য হৃদরোগ চিকিৎসা নানাভাবে ব্যাহত হয়ে আসছিল।
চট্টগ্রামের চিকিৎসাখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মা ও শিশু হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য বড় ধরনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এলাকায় ৩৪টি সিসিইউ, দুইটি ক্যাথ ল্যাব এবং একটি মডিউলার ওটিসহ সর্বমোট ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ চিকিৎসা ইউনিট গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি ইন্তেকাল করা প্রখ্যাত একজন শিল্পপতি এককভাবে এই হৃদরোগ ইউনিট তৈরি করে দিচ্ছিলেন। মারা যাওয়ার আগ দিয়েই তিনি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা হাসপাতালের একাউন্টে জমা করে যান। ওই টাকায় প্রাথমিকভাবে ৩৪টি সিসিইউ প্রস্তুত করা হয়েছে। সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই সিসিইউ আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন করা হবে। একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৩৪টি সিসিইউ উদ্বোধন করবেন। এটিই চট্টগ্রামের বেসরকারিখাতে সবচেয়ে বড় সিসিইউ বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। একই সাথে দুইটি ক্যাথ ল্যাব এবং একটি মডিউলার ওটি স্থাপনের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ ইউনিট পুরোদমে চালু করা হবে বলেও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি রেজাউল করিম আজাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দানবীর এই হৃদরোগ ইউনিট তৈরি করে দিচ্ছেন। তিনি মারা গেছেন, তবে তার স্বজনেরা প্রকল্পটি শেষ করার প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিচ্ছেন। চট্টগ্রামের হৃদরোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও রেজাউল করিম আজাদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।