চট্টগ্রামের কবিয়াল ও কবিগান

শামসুল আরেফীন | শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

দ্বিতীয় পর্ব

চল্লিশ দশকে পৌরাণিক ও কাল্পনিক বিশ্ব থেকে কবিগানকে মাটিতে নামানোর কিংবা কবিগানে নতুন মাত্রা সংযোজন করার ক্ষেত্রে রমেশ শীলের শিষ্য-সহচর ছিলেন ফণী বড়ুয়া, রাই গোপাল দাস, হেদায়েত ইসলাম খান, গোবিন্দ চন্দ্র দে, শৈলেন সেন, তারাচরণ দাস, বরদাচরণ দে, সারদাচরণ বড়ুয়া, রমেশপুত্র যজ্ঞেশ্বর শীল ও বিনয় বাঁশী প্রমুখ। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে চট্টগ্রামে সরকারি হিসাবমতে প্রায় দুই লক্ষ নর-নারী মারা যায়। তখন কবিয়ালদের জীবন-সংকট নিরসনের জন্য তিনি গঠন করেন ‘চট্টগ্রাম কবি সমিতি’। তাঁর উক্ত শিষ্য সহচররাও এ-সংগঠনে জড়িত ছিলেন। তিনি সভাপতি, ফণী বড়ুয়া ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। বস্তুত একদিকে কবিয়ালদের জীবন-সংকট নিরসন, অন্যদিকে কবিগানে উক্ত নতুন মাত্রা সংযোজনের উদ্দেশ্যে ‘চট্টগ্রাম কবি সমিতি’ গঠন করে তাঁর শিষ্য-সহচর ও অন্যান্য কবিয়ালদের তিনি সংগঠিত করেন।
উল্লেখ বাহুল্য, চল্লিশ দশকে কবিগানে নতুন মাত্রা সংযোজনে কমিউনিস্ট পার্টি-চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদেরও ভূমিকা ছিল। ১৯৩৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টিকে চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে বঙ্কিম সেন চট্টলেশ, গীরিজা শঙ্কর ও কলিম শরাফী প্রমুখের উদ্যোগে চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে আয়োজিত হয় ‘কবিয়াল সম্মেলন’। এখানে করিম বখশের শিষ্য মনিন্দ্র সরকার ও সিলেটের কবিয়াল ফণীদাস বিএ কবির লড়াই করেন। ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট-কর্মীরা জেলমুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রামের পল্লি অঞ্চলে কৃষকদের সংগঠিত করার তৎপরতা শুরুর পাশাপাশি চট্টগ্রামের কবিয়ালদের সাম্যবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার কাজও শুরু করেন। কমিউনিস্ট-নেতা বঙ্কিম সেন চট্টলেশ রমেশ শীলকে এ-চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সমর্থ হন। বঙ্কিম সেনের মাধ্যমে রমেশ শীল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘জনযুদ্ধ’-র একটি সংখ্যা পাঠ করে জানান: ‘…দেশের কথা ঠিক এভাবে জানার কখনও সুযোগ হয়নি। নতুনভাবে গান লেখার একটা দারুণ সাড়া পেলাম। …এতোদিনে একটা রাস্তা পেয়ে গেলাম। ঠিক করলাম সারা চাটগাঁয় এবার গান নিয়ে মানুষ জাগাব’ [বাংলাদেশের কবিগান/যতীন সরকার]। কমিউনিস্ট-কর্মী সারদাচরণ শীল রমেশ শীলের শিষ্য-সহচর রাই গোপাল দাসকে কৃষক-সমিতির কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে অনুপ্রেরণা জোগান।
সাম্যবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রমেশ শীল ‘চট্টগ্রাম কবি সমিতি’ গঠনের মাধ্যমে ১৯৪৩ সালে উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাগোয়ান এলাকায় জেলা কৃষক সম্মেলনে ‘চাষি বনাম মজুতদার’ বিষয়ে কবিগান করেন। এখানেই কবিগানে পৌরাণিক-কাল্পনিক-ধর্মীয় বিষয়, যেমন, রাম-রাবণ, রাধা-কৃষ্ণ, এজিদ-হোসেন প্রভৃতির স্থান অধিকার করে মাটির বিষয়-আশয়। এখানেই কবিগানে প্রথম মেহনতি মানুষের অধিকারের কথা উচ্চারিত হয়, শাসক-শোষক শ্রেণির স্বরূপ উন্মোচিত হতে শুরু করে। এখানেই কবিগান সমাজভাঙার হাতিয়ার হয়ে উঠতে আরম্ভ করে। এখানেই কবিগানের পৃষ্ঠপোষকতায় ধনাঢ্য ব্যক্তির স্থান দখল করে সাধারণ মানুষ। এভাবে এখানেই কবিগানে নতুন মাত্রা যোগ ও নবযুগের অভিষেক ঘটে। রমেশ শীল তাঁর শিষ্য-সহচরদের নিয়ে চল্লিশ দশকে, এমনকি এর পরেও এ ধরনের অনেক কবিগান করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়, মানিক বন্দোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, গোপাল হালদার, প্রভাবতী দেবী, স্বরস্বতী প্রমুখের উদ্যোগে ‘নিখিল বঙ্গ প্রগতিশীল লেখক ও শিল্পী সম্মেলন’ ১৯৪৫ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলে, তাতে ‘কৃষক বনাম মজুতদার’ বিষয়ে কবিগানের আসরও বসে। এক পক্ষে ছিলেন রমেশ শীল। তাঁর সাথে ছিলেন ফণী বড়ুয়া, রাই গোপাল দাস, যজ্ঞেশ্বর শীল, মনোমোহন দাস ও বিনয় বাঁশী জলদাস। অপরপক্ষে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অপরাজেয় কবিয়াল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ থেকে সোনার মেডেল বিজয়ী শেখ গোমানী দেওয়ান ও লম্বোধর চক্রবর্তী। রাত এগারটায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাত দু’টায় আপোষমূলক যোটক দিয়ে কবিগানের সমাপ্তি টানা হয়। অন্য এক সময় রমেশ শীল ‘মজুতদার আর চাষি’ বিষয়ে তাঁর শিষ্য ফণী বড়ুয়ার সাথে কবির লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এ-লড়াই প্রত্যক্ষ করে বলেন: ‘…রমেশ শীলের এ-যেন অন্য চেহারা। ঝোড়ো কাকের মত সাদা চুলগুলো আলুথালু হয়ে হাওয়ায় উড়ছে। চোখ দু’টো মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে। শরীরের রেখায়-রেখায় যেন বিজলীর চমক। …এ এক নতুন ধরনের কবির লড়াই। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গালাগালি নেই…। এরপরে গোটা হলজুড়ে একটি জিজ্ঞাসা গমগম করে উঠে, চাটগাঁর মানুষ মরবে কি?…হঠাৎ বাজনা থেমে যায়। চড়া গলায় শপথের মত হুঙ্কার শোনা যায়, না, মরবে না। হলশুদ্ধ মানুষ ধনুকের ছিলার মত উঠে দাঁড়ায়। না, মরবে না চট্টগ্রামের মানুষ’। রমেশ শীল একবার তাঁর শিষ্য ফণী বড়ুয়ার সাথে ‘যুদ্ধ বনাম শান্তি’ বিষয়েও কবির লড়াই করেন। সুচরিত চৌধুরী তা প্রত্যক্ষ করে বলেন: ‘… বন্দনার পর রমেশ শীল মামুলী পোশাক, গ্রাম্য তো বটেই, চেহারায় কোন শিল্প-ভঙ্গিমা নেই, সাদাসিধে-অর্কেস্ট্রা নেই, একটি তারের যন্ত্র পর্যন্ত নেই। শুধু ঢোল আর কাঁসি। সুর ছাড়া কী করে গান হয়? কবিগান শুরু হবার পর বুঝেছিলাম-এতে সুর না হলেও চলে, কেননা কথার রসই হলো কবিগানের প্রাণ’। এ লড়াইয়ে রমেশ শীল ছিলেন যুদ্ধের পক্ষে। বলা বাহুল্য, এ-ধরনের কবিগানের মাধ্যমে কবিগানে নতুন মাত্রা যোগ করে এ-গানের নবযুগ সৃষ্টি করলেও রমেশ শীলকে এ কারণে জেলেও যেতে হয়। পাকিস্তান আমলে অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে তিনি পরাধীনতার বিরুদ্ধে কবিগান করলে পাকিস্তান সরকার তাঁকে কারারুদ্ধ করে।
তিন.
কবিগানে রমেশ শীলের সময়কালকে যতীন সরকার তাঁর ‘বাংলাদেশের কবিগান’ গ্রন্থে ‘রমেশ যুগ’ অভিহিত করেছেন। রমেশ শীলের মৃত্যুর পরে তাঁর শিষ্য ফণী বড়ুয়া (১৯১৫-২০০১) ও রাই গোপাল দাস (১৯১৮-১৯৮৭) তাঁর ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কলকাতার ক্যাথেড্রাল রোডের মাঠ, ধর্মতলা, মুহাম্মদ আলী পার্ক, বর্ধমান বঙ্কিম সাহিত্য পরিষদ, পঞ্চমঠ প্রভৃতি পশ্চিমবঙ্গীয় স্থানে, এছাড়া শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, ঢাকা কার্জন হল, ঢাকা স্টেডিয়াম, ঢাকা টিএসসি চত্বর, ঢাকা হল জগন্নাথ কলেজ, বিটিভির রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ (ডক্টর) সম্বর্ধনা সভা, চট্টগ্রাম শহীদ মিনার চত্বর প্রভৃতি জায়গায় রমেশ শীলের মৃত্যুর পরে ফণী বড়ুয়ার পরিবেশিত কবিগান অবিস্মরণীয়। রাই গোপাল দাস ১৯৭৮ সালে কলকাতার ক্যাথেড্রাল রোডের মাঠে মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘ধনতন্ত্র বনাম সমাজতন্ত্র’ বিষয়ে ফণী বড়ুয়ার সাথে, ১৯৮১ সালে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে রণজি-স্টেডিয়ামে যজ্ঞেশ্বর শীলের সাথে কবির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে বেশ আলোচিত হন। না বললেই নয়, রমেশ শীলের মৃত্যুর পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার শান্তি চৌধুরীর মাধ্যমে ‘বাংলার কবিয়াল’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করলে, তাতে শেখ গোমানী দেওয়ান ও তাঁর কয়েক শিষ্যের গানের সাথে ফণী বড়ুয়া ও রাই গোপাল দাসের গানও স্থান পায়। ‘কবিগান সমাজভাঙার হাতিয়ার হয়েছে’ এই বিষয় ধরে রাখতে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়। শেখ গোমানী দেওয়ান ও রমেশ শীলের সংক্ষিপ্ত জীবনীও তাতে ধারণ করা হয়।
চার.
রমেশ শীলের নতুন ধারার কবিগান দ্বারা তাঁর শিষ্য না হয়েও তাঁর নবীন সমসাময়িক মনিন্দ্র সরকার (১৯০০-২০০০) ও ইয়াকুব আলী (১৯৩১-১৯৯৫) অত্যন্ত প্রভাবিত ছিলেন। তাঁরাও রমেশ শীলের সমকালে ও পরে এরকম কবিগান করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ভাষা স্থপতি অধ্যক্ষ আবুল কাসেমের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘কঠিন বাংলা ভাষা বনাম সহজ বাংলা ভাষা’ শীর্ষক কবির লড়াইয়ে সারাদেশ থেকে আগত প্রায় আড়াইশ কবিয়ালের মধ্যে মনিন্দ্র সরকারের বিজয় লাভ, ফলে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ থেকে তাঁর স্বর্ণপদক প্রাপ্তির তথ্য রয়েছে। ইয়াকুব আলী ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাক ভাষা সম্মেলনে উল্লিখিত ‘কঠিন বাংলা ভাষা বনাম সহজ বাংলা ভাষা’ শীর্ষক কবির লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করে দারুণ কৃতিত্ব দেখিয়ে কবি খান মুহাম্মদ মঈনউদ্দিন থেকে সোনার মেডেল পান, এমন খবর পাওয়া যায়।
পাঁচ.
রমেশ শীলের নতুন ধারার কবিগানের কিছু না কিছু প্রভাব তাঁর সমসাময়িক, নবীন সমসাময়িক ও আরও পরের নিম্নোক্ত চট্টগ্রামী কবিয়ালদের মধ্যে ছিল:
নজু মিয়া, রমনী মোহন দেব সরকার (১৯০৫-১৯৭১), ছাবের সরকার (১৯০৬-?), নিরঞ্জন দাশ (১৯১৩-?), নূর আহমদ সরকার (১৯১৪-১৯৮৫), শশাঙ্ক মোহন চৌধুরী (১৯১৭-?), আহমদুর রহমান (১৯২৪-), বিভূতী রঞ্জন নাথ (১৯৩৪-), রাখাল মালাকার (১৯৩৫-), মোহাম্মদ সৈয়দ (১৯৩৬-?), রাখাল দাশ (১৯৪১-), মানিক শীল (১৯৪৩-), খুকী রানী শীল, মোহাম্মদ নুরুল হক, জীবন কৃষ্ণ কানুনগো, সারদা শীল, দুদু মিয়া, রমেশচন্দ্র নাথ, দুর্গাকুমার শীল, অবর্ণ শীল, রসিকচন্দ্র নাথ, রাইমোহন বড়ুয়া, মহেন্দ্রলাল দাশ, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, কালামিয়া ফারুকী, এস এম নূর-উল-আলম, কল্পতরু ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোশতাক আহমদ, মাধুরী ভট্টাচার্য, বাবুল বিশ্বাস, চক্রপাণী ভট্টাচার্য, দিলীপ ভট্টাচার্য, ডা. এম আর আলী, নিকুঞ্জ সরকার, ইব্রাহিম সরকার, আব্দুল আজিজ, ইলিয়াছ, সুশীল, শিমুল, ব্রজহরি সরকার, অরুণ বড়ুয়া, নূরুল হুদা, ইসমাঈল, সাধন সরকার, অর্জুন সরকার, কালিপদ সরকার, আবুবক্কর, কামিনী মোহন নাথ, নিরঞ্জন সরকার, রাজারাম, কাজল চক্রবর্তী, কামাল উদ্দিন, গোলাম ছোবহান, শিশির নন্দী, অনিল ধর, কৃষ্ট ঠাকুর, জগদীশ চক্রবর্তী, ডা. সুবল সরকার, মিলন সরকার, দিলীপ দাশ, অশ্বিনী দাশ, মধুসূদন নাথ, সুরেশ বড়ুয়া, অনিল সরকার, পরিতোষ বড়ুয়া, শামসুল আলম, হরিপদ দেয়ারী, তরণী সেন দেয়ারী, চপলা ভট্ট, এবিএম ফরিদুজ্জামান, নাদেরুজ্জামান, বিপি ঠাকুর, এজাহার মিঞা, সুরেন্দ্র পুরোহিত, নিবারণ শীল, মফিজুর রহমান, খায়ের আহমদ, হর গোবিন্দ, ননী গোপাল আচার্য, জিয়াউদ্দিন আহমদ, মণীন্দ্র দে, নিত্যানন্দ সরকার, বিনন্দ সাধু, মকবুল সরকার, ফজল আহমদ, শশী সরকার, ডি এল দাস, কানাইলাল শীল, কামিনী মোহন দাশ, ননী গোপাল, সাধন আচার্য, গোবিন্দ সরকার, গনজম আলী, প্রফুল্ল শীল, আলতাফ মিঞা, কামিনী ভেন্ডার, পূর্ণচন্দ্র চাকমা, অজিউল্লাহ, খগেন্দ্রলাল দে, আহমদ মিঞা, সন্ধ্যা ঠাকুর, নিকুঞ্জ শীল, মণিবালা, গৌরচাঁদ, পুলিন বিহারী পাল, টুনু মিঞা সরকার ও আর অনেকে।
রমেশ শীলের মৃত্যুর পরে, বিশ শতকের আশির দশক পর্যন্ত ফণী বড়ুয়া, রাই গোপাল দাস, মনিন্দ্র সরকার ও ইয়াকুব আলীর পাশাপাশি এঁরাও রমেশ শীলের নতুন ধারার কবিগান বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কোন-না-কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। আশির দশকের সমাপ্তিলগ্ন থেকে চট্টগ্রামে কবিয়াল-সংখ্যা ও কবিগান পরিবেশনা হ্রাস পেতে থাকে।

লেখক: লোকসংস্কৃতি গবেষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিরে দেখা একুশ
পরবর্তী নিবন্ধনগরীর ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৯২ হাজার টাকা জরিমানা