চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে এমন বিদেশি চ্যানেলের সমপ্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে চ্যানেলগুলোর সমপ্রচার বন্ধ রেখেছেন ক্যাবল অপারেটররা। তারা বলছেন, বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড না দিলে বিজ্ঞাপন কেটে বাদ দিয়ে সমপ্রচার করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণে তারা চ্যানেলগুলো দেখানোই বন্ধ করে দিয়েছেন। দর্শকদের উদ্দেশে ক্যাবল অপারেটরদের দেয়া একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের পর বিজ্ঞাপনযুক্ত কোনো বিদেশি চ্যানেলের সমপ্রচার করা যাবে না। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ক্যাবল অপারেটররা বিজ্ঞাপন থাকা বিদেশি চ্যানেলের সমপ্রচার বন্ধ রেখেছে। এর ফলে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য তারা দুঃখিত।
সিসিএল পরিচালক শ্যামল কুমার পালিত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আজাদীকে বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সমপ্রচার করা যাবে না। ক্লিন ফিড মানে হল কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। বর্তমান আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের অনুষ্ঠান বাংলাদেশে দেখাতে হলে ‘ক্লিন ফিড’ দেখাতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেলেতো কম-বেশি বিজ্ঞাপন থাকেই, এর মধ্যে আজ (শুক্রবার) থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের অফিসেও এসেছিল। অনেকে মনে করছেন, ক্যাবল অপারেটররা বুঝি কোনো কারণে বিদেশি চ্যানেলগুলোর সমপ্রচার বন্ধ রেখেছেন।
কিন্তু বিষয়টি হলো, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে এমন বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে দেখানো যাবে না। যেহেতু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সেহেতু বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো চলছে, বিদেশি চ্যানেল বন্ধ রেখেছি। সরকার পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো নির্দেশনা দিলে বা পদক্ষেপ নিলে, তাঁরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠকের পর তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ঘোষণা দেন, ‘ক্লিন ফিড’ ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সমপ্রচার করলে আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে দেশে কোনো অবস্থাতেই ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেলকে চালাতে দিতে পারি না। এরপর আইন প্রয়োগ করা হবে। ‘ক্লিন ফিড’ চলছে কিনা সেটি নিয়ে আমরা সারা দেশে এনফোর্সমেন্টে যাব।’ সেই সময়সীমার শেষদিন বৃহস্পতিবার আবারও বিষয়টি মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী। সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সবাই আইন মানছে কি না তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার থেকে দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।