চট্টগ্রামকে ভালোবেসেছিলেন এ এইচ এম করম আলী

হোটেল আগ্রাবাদে স্মরণসভায় এম এ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৪ মার্চ, ২০২৪ at ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

হোটেল আগ্রাবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, চট্টগ্রামস্থ বৃহত্তর ঢাকা সমিতির সাবেক সভাপতি এ এইচ এম করম আলীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষ না হয়েও অনেক বেশি চট্টগ্রামের হয়ে উঠেছিলেন মরহুম আলহাজ্ব এ এইচ এম করম আলী। তিনি চট্টগ্রামকে ভালোবেসেছিলেন মন দিয়ে। তাঁর ভালোবাসা চট্টগ্রামকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পকে একটি ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মরহুম করম আলীর অবদান বহু যুগ শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হবে। বড় ভাইয়ের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে চট্টগ্রামের ওই সময়ের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল আগ্রাবাদের উন্নয়ন এবং প্রসারে মরহুম করম আলী সাহেব যে ভূমিকা রেখেছেন তা অনন্য।

মরহুম করম আলীকে একজন মহান ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং মানবিক সংগঠক হিসেবে উল্লেখ করে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, তিনি শুধু নিজের জন্য ব্যবসা বাণিজ্য করেন নি, চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের জন্য অনেক কাজও করেছেন। একজন লায়ন সদস্য হিসেবে তিনি চট্টগ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন।

গতকাল সন্ধ্যায় হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর ঢাকা সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান।

সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মীর নাজমুল আহসান রবিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক, মমতার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব রফিক আহামদ।

চট্টগ্রাম ডিভিশনের এন্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোসলেম।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পিলু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, মরহুম এম এ করম আলীর সহধর্মীনি সেতারা বেগম ও ছোট ছেলে আলী ইমাম (আহাদ), ডা. মোজ্জামেল শরীফি, প্রিন্সিপাল এম.এ কাশেম, সালাউদ্দিম রোমান, হাফেজ মো. আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মো. এমদাদুল হক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, করম আলীর নেতৃত্বে ঢাকা সমিতি ফ্রি ক্লিনিকসহ নানা সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তিনি বেশ উৎসাহের সাথে এসব কাজ করতেন। তাঁর উদ্যোগে ঢাকা সমিতির যাকাত ফান্ড অনেক অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

করম আলী একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শুধু হোটেল আগ্রাবাদ বা ঢাকা সমিতিই নয়, মেধা মননে অনন্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এ এইচ এম করম আলী দীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও সরকারিবেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন সোনালী ব্যাংক, সাধারণ বীমা করপোররেশন ও হোটেল শেরাটনএর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাছাড়া চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ রাইফেল ক্লাবের আজীবন অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্যূটিং ফেডারেশনের সহসভাপতি, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির দীর্ঘদিন সিনিয়র সহসভাপতি, চট্টগ্রাম সেন্টপ্লাসিড স্কুলের কার্যকরী পরিষদের দীর্ঘদিনের সদস্য, চট্টগ্রাম লায়নস্‌ ক্লাব অব খাতুনগঞ্জের সভাপতি ও লায়ন্স ক্লাবস্‌ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট৩১৫এর ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত থেকে মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশকে উৎসাহিত করছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধঈদে আসছে ‘মায়া’