গোঁয়ারফাঁড়ি শাখা খালে আরেকটি বাঁধ অপসারণ

চকরিয়ায় তিন হাজার একর জমির বৈধ চিংড়িঘের মালিকদের মাঝে স্বস্তি

চকরিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ৩ অক্টোবর, ২০২২ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বিলুপ্তপ্রায় কক্সবাজারের চকরিয়া সুন্দরবনের সামুদ্রিক জোয়ার-ভাটার নিয়ন্ত্রিত প্রবহমান গোঁয়ারফাঁড়ি খালের শাখায় দেওয়া আরো একটি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে চিংড়িঘের তৈরির উদ্দেশ্যে দেওয়া এই মাটির বাঁধটি গতকাল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপসারণ করা হয়। বাঁধটি অপসারণে নিয়োজিত করা হয় অন্তত ৩০ জন শ্রমিক।
বাঁধ অপসারণ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী (তহসিলদার) আবুল মনসুর। তিনি দৈনিক আজাদীকে জানান, কয়েকমাস আগে সুন্দরবনের ইলিশিয়া-ডেবডেবী এলাকার গোঁয়ারফাঁড়ি খালের একটি শাখায় মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। বিষয়টি নজরে আসার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানের নির্দেশে গতকাল শ্রমিক দিয়ে মাটির বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।
ভূমি কর্মকর্তা আবুল মনসুর বলেন, ‘বাঁধটি অপসারণ করায় প্রায় তিন হাজার একর জমির বৈধ চিংড়িঘের মালিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’
বৈধ চিংড়িঘের মালিক ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলা দৈনিক আজাদীকে বলেন, পশ্চিম বড় ভেওলার ডেবডেবী, ফুলতলা এবং বদরখালী ইউনিয়নের সাতডালিয়া পাড়ার ওপর দিয়ে প্রবহমান এই গোঁয়ারফাঁড়ি শাখা খাল। কয়েক কিলোমিটারের শাখা খালটির আরো একটি প্রশাখা খালে পানি চলাচলে মাটির বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় অকেঁজো হয়ে পড়ে উপকূলের পাঁচটি স্লুইস গেট বা জলকপাট। এই খালের লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে তিন হাজার একর জমিতে চিংড়ি উৎপাদন এবং শুষ্ক মৌসুমে লবণ চাষ করে আসছেন অসংখ্য ঘের মালিক। কিন্তু খালটিতে মাটির বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সরকারিভাবে লিজপ্রাপ্ত চিংড়িঘের মালিকদের মধ্যে।
চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘চকরিয়া সুন্দরবনের প্রবহমান কোনো খালে মাটির বাঁধ দেওয়া যাবে না। একমাসের মধ্যে পর দুটি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। এর পরও যদি কেউ ফের বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে কাউকে আর ছাড় দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, দৈনিক আজাদীতে গত সেপ্টেম্বর মাসে এ নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর ‘গোঁয়ারফাঁড়ি খালের সেই বাঁধ অপসারণ করা হয়। গতকাল অপসারণ করা হয়েছে ওই খালের প্রশাখায় দেওয়া আরেকটি মাটির বাঁধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএমপির সহযোগিতা চায় চসিক
পরবর্তী নিবন্ধ৩৫০০ ফুট উচ্চতায় চলন্ত বিমানে গুলি!