গুমাইবিলে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করল প্রশাসন

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে পাকা স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক চলছে, অনেক স্থানে কাটা হচ্ছে টপ সয়েল। এতে ছোট হয়ে আসছে গুমাইবিল, নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুমাইবিলে অভিযান চালিয়ে স্থাপনা নির্মাণ এবং জমির টপ সয়েল কাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে গুমাইবিলে অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন একটি পাকা স্থাপনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থাপনা নির্মাণের সামগ্রী একদিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এটি করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। গুমাইবিলে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ইতিপূর্বেও অনেকবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গুমাইবিলের স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পট, চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে কদমতলী পর্যন্ত এবং লিচুবাগানের এলাকা দিয়ে গড়ে উঠা ইটভাটার আশেপাশে প্রকাশ্যে কয়েক ফুট গভীর করে জমির টপ সয়েল কেটে বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বড় বড় ট্রাকে এসব মাটি পরিবহনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গুমাইবিলের অন্যান্য জমির পাশাপাশি রাস্তাঘাটও। ইতোমধ্যে কয়েকশ শতক কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়েছে মাটি ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, টপ সয়েল হচ্ছে জমির প্রাণ। জমির উপরের আট থেকে ১০ ইঞ্চিই হলো টপ সয়েল। আর ওই অংশেই থাকে মূল জৈবশক্তি। কৃষকরা জমির টপ সয়েল বিক্রি করে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছেন। মাটি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে তারা জমির উর্বরতা শক্তিই বিক্রি করে দিচ্ছেন। জমির এ ক্ষতি ১০ বছরেও পূরণ হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বলেন, খবর পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গুমাইবিলে যেনো আর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা না হয় সেজন্যও তৎপর রয়েছে প্রশাসন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি নির্বাচনে না এলে অপূর্ণতা থাকবে : সিইসি