গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শুরু আষাঢ়

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ জুন, ২০২১ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

বছর ঘুরে আবারও এসেছে চির যৌবনা আষাঢ়। বৃষ্টি দিয়েই সূচনা হয়েছে পহেলা আষাঢ়ের। গতকাল মঙ্গলবার দিনটি শুরু হয় বৃষ্টি মুখরতায়। তার আগে নীল আকাশটা প্রতিদিনের মত রুক্ষ্ম মেজাজে ছিল। তবে রঙ বদলে যায় সকালে। পুবাকাশের সূর্যকিরণ হেসে উঠতে না উঠতেই মেঘের ধূসর রঙে ছেয়ে যায়। ১১টা গড়াতেই নামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এভাবে চলে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হলেও রূপ ও সৌন্দর্যের দিক থেকে আকর্ষণীয় বর্ষাকাল। বর্ষায় চারপাশ মুখরিত থাকে কদম, দোলনচাঁপা, কামিনী, কেয়া, বেলি, অলকানন্দা ও বকুল ফুলের সুবাসে। আষাঢ় মাসের সাথে বৃষ্টির রয়েছে ছন্দময় মিল। গতকাল চট্টগ্রামের মতো সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দিয়েছে ভারী বর্ষণের আভাস।
অথচ পুরো জ্যেষ্ঠ কেটেছে তীব্র গরম আর কাঠফাটা রোদে। মাঝখানে কদিন ভারি বৃষ্টি থাকলেও পুরো মাসে তার দেখা মেলেনি। তাই পহেলা আষাঢ়ের সকাল যেন সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। দুপুরের পর দূর আকাশে দেখা গেছে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম ঝাড়খণ্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত। এছাড়া মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
এদিকে সাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সমুদ্র বন্দরে ঝড়ো হাওয়া যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআধুনিকায়ন হচ্ছে রেলের ৫২ স্টেশন
পরবর্তী নিবন্ধপৌরকর পুনর্মূল্যায়ন : বিশিষ্টজনদের ভাবনা