গরমকালের দুপুরগুলো দুপুরতো নয়
নীরব নিথর কেমন যেন ঝিম মেরে রয়!
রোদে পোড়া গাছগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে
হয়তো তারা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন আঁকে
দূরের পাহাড় সঙ্গীবিহীন একলা একা
কাঠুরে বা শিকারীদের পায় না দেখা
একটু দূরেই বয়ে চলা নদীর বাঁকে
ভরদুপুরে জেলে–মাঝি কে আর থাকে?
গাঁ–গেরামের রাস্তাগুলোও ভারি ফাঁকা
পথিকবিহীন একটু যেন দুঃখমাখা
দুরন্তরাও ইসকুলেতে মগ্ন পাঠে
কেউ থাকে না বিলে ঝিলে খেলার মাঠে।
গরমকালের এই যে দুপুর একলা দুপুর
রিনিঝিনি বাজায় যদি রোদের নূপুর
উঠবে জেগে গ্রামকিশোরী দস্যি বালক
কুড়িয়ে নিতে রোদের কণা পাখির পালক
কিন্তু দুপুর বাজায় না তার মোহন বাঁশি
তার ঠোঁটেও লেগে থাকে মৌন হাসি।
চাঁপাফুলের রঙমাখা এই দুপুর বেলা
ঘুমের মাঝে জেগে থাকার মজার খেলা
খেলতে খেলতে আমিও ডাকি বিকেলটাকে
যেই বিকেলটা আমার মাঝে স্বপ্ন আঁকে
আমায় পেয়ে বিকেল দাঁড়ায় মাঠের ধারে
ঘরে তখন বন্দি থাকতে কে আর পারে?
দল বেঁধে ওই দুরন্তরাও খেলতে ছোটে
সবার মুখেই রোদের মতো হাসি ফোটে।