খেলাধুলার অনুশীলনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করল চট্টো টার্ফ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের খেলার মাঠের বড়ই অভাব। সেটা ইনডোর কিংবা আউটডোর। তাই কিশোরতরুনরা ক্রমশ কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন মুখী হয়ে যাচ্ছে। নগরীর যেসব স্কুলে খেলার মাঠ রয়েছে সেগুলো খেলাধুলার উপযোগী নেই বললেই চলে। তাই শিশুকিশোররা মাঠে খেলতে না পারার কারনে ক্রমশ অলস হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রামে কিশোরযুবকদের অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়েছে চট্টো টার্ফ। নগরীর ২ নং রেল গেট এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে দারুন এক কমপ্লেক্স। যেখানে ফুটবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং ক্রিকেটের অনুশীলনের সুযোগ মিলছে। প্রায় ১৫ গন্ডা জায়গার উপর গড়ে উঠা এই চট্টো টার্ফে রয়েছে একটি ফুটসাল মাঠ। যেটি দৈর্ঘে ৯০ ফুট এবং প্রস্থে ৫০ ফুট। রয়েছে একটি থ্রি ভি থ্রি বাস্কেটবল মাঠ। এটি হচ্ছে বাস্কেটবলের হাফ মাঠ। যেখানে একটি বাস্কেট থাকে। মুলত ঘুরে ঘুরে এই মাঠে খেলতে হয়। এছাড়া দুটি ব্যাডমিন্টন কোর্ট এবং একটি ক্রিকেট অনুশীলনের নেট রয়েছে। যদিও ক্রিকেট অনুশীলনের নেটটি এখন ম্যাটে খেলা হচ্ছে। তবে সেটা শীঘ্রই টার্ফে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টো টার্ফের কর্মকর্তারা।

এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী এবং বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসের কর্মকর্তারা খেলছে চট্টো টার্ফে। দিনের বেলায় ছাত্রছাত্রীদের এবং রাতের বেলায় কর্পোরেট কর্মকর্তাদের অনুশীলনের সুযোগ রাখা হয়েছে। চট্টো টার্ফের প্রতিষ্টাতা ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন জানান এই টার্ফে যা রাখা হয়েছে তা খেলোয়াড়দের স্কিল বাড়াতে সহায়তা করবে। ফুটসাল এখন বিশ্বে দারুন জনপ্রিয়। এছাড়া থ্রিভিথ্রি বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের স্কিলকে বৃদ্ধি করে। কারন এটি হাফ কোর্টে ঘুরে ঘূরে খেলতে হয়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছাত্র ছাত্রীরা এখানে অনুশীলন করচে। কদিন আগে একটি থ্রিভিথ্রি বাঙেটবল টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে ক্রিকেটে প্রায় ৬০ জন, ফুটবলে ১২০ জন, বাস্কেটবলে ৪০ জন এবং ব্যাডমিন্টনে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়মিত অনুশীলন করছে। মূলত ভাড়া দিয়েই অনুশীলন করতে হয় এখানে। বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া দিয়েও এত সুন্দর এবং নিরাপদ পরিবেশে অনুশীলন করার কোন সুযোগ নেই। তাই অনেকেই বাচ্চাদের নিয়ে ভিড় করছে চট্টো টার্ফে। ঢাকায় এ ধরনের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও চট্টগ্রামে এটাই প্রথম। তাইতো চট্টো টার্ফ কর্তৃপক্ষ এই সুযোগ আরো বাড়াতে চায়। বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল এবং ব্যাডমিন্টন একাডেমি করারও চিন্তা রয়েছে তাদের। যদিও সেটা হয়তো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে চট্টগ্রামে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হলো তাতেই খুশি আয়োজকরা। এছাড়াও শিশু, কিশোর, যুবকরা যাতে বিপথে না যায় সে জন্য চট্টো টার্ফে টেবিল টেনিস এবং পুলেরও সুবিধা রাখা হয়েছে। যারা মাঠে অনুশীলন করবেনা তারা হল রুমে টেবিল টেনিস কিংবা পুল অনুশীলন করতে পারবে। বলা যায় চট্টগ্রামে এটি একটি নতুন ধারনা। যা হয়তো উৎসাহিত করবে অন্যদের।

তাছাড়া বিশাল জায়গা ছাড়াও যে খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করা যায় সে ধারনাও জন্মাবে এখন অনেকের মধ্যে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য এটি একটি ভাল সুযোগ হিসেবে দেখছেন অভিভাবকরা। তাইতো অনেকেই বাচ্চাদের নিয়ে ভিড় করছেন সেখানে। কারণ সব অভিভাবকই চান তার বাচ্চা সুস্থ এবং সবল হয়ে গড়ে উঠুক। আর সে সুযোগটি সৃষ্টি করে দিয়েছে চট্টো টার্ফে। একই সাথে খেলা ধুলায় নতুন ধারনারও সৃষ্টি করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবার কোভিড পজিটিভ আফ্রিদি
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারী শিশু পরিবারে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট সম্পন্ন