খেজুর ও নারিকেল গাছ রোপণ করতে হবে

| মঙ্গলবার , ১১ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

শীতে খেজুরের রস ও রসের হরেক রকম পিঠা পায়েসের মুখরোচক খাবার আমাদের অভিভূত করে। আমরা যারা শহরে বাস করি তারা চেষ্টা করি, শীতের গ্রামীণ আবহ শহরে উপভোগ করতে। শহরের নাগরিক জীবনে শীতের আমেজ গ্রামের মত উপভোগ্য নয়। তবু আমরা চেষ্টা করি শীতের পিঠাপুলি তৈরি করে শীত আনন্দ উপভোগ করতে। কিন্তু ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের শীত আনন্দ। কারণ শীতের পিঠা উপকরণের দুষ্প্রাপ্যতা। প্রথমত খেজুরের রসের স্বল্পতা আমাদের শীত আনন্দকে করেছে মলিন। দ্বিতীয়ত নারিকেলের স্বল্পতা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। তৃতীয়ত খেজুরের রস কম উৎপাদন হওয়ায় খাঁটি খেজুরের গুড় হয়ে উঠেছে দুষ্প্রাপ্য। অথচ এসব উপকরণের যোগান হয় খেজুর গাছ ও নারিকেল গাছ হতে। যা ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে। আমাদের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে নারিকেল ও খেজুরের চারা উৎপাদনের প্রতি আরো বেশী মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের অতীত ঐতিহ্যকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে বেশী করে খেজুর ও নারিকেল গাছ রোপণ করতে হবে।
শাহ নেওয়াজ
মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিচারপতি হাবিবুর রহমান : বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের মানে; যে প্রশ্নের উত্তর মিলে না কিছুতেই