গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপের এ সময়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সেহরির সময়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ ভুক্তভোগী মানুষের। গত বেশ কয়েকদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, রমজান মাসে চট্টগ্রামের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবির সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। কোনো এলাকায় যদি ট্রান্সফরমার বিকল কিংবা সঞ্চালন লাইনের সমস্যা হয় সাথে সাথেই সমাধান করা হচ্ছে। এমনিতে চট্টগ্রামে কোনো লোডশেডিং নেই। এখন গরম বেশি পড়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও একটু বেড়েছে। ১২শ ৭০ মেগাওয়াটের মতো চাহিদা আছে চট্টগ্রামে।
পবিত্র রমজান মাসে একদিকে যেমন গ্রীষ্মের খরতাপ তেমনি অন্যদিকে ইফতার ও সেহরিতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। প্রতি বছর রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবি নানা উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি ডিভিশনে এই ব্যাপারে লিখিত নির্দেশনা দিয়ে থাকেন প্রধান প্রকৌশলী। এ বছরও রমজান শুরুর আগে এই ধরনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছিল পিডিবি কর্তৃপক্ষ। তারপরও ট্রান্সফরমার বিকল এবং সঞ্চালন লাইনের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতারের সময় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে টেলিফোনে সাধারণ মানুষ আজাদীকে প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ভোগান্তির কথা জানাচ্ছেন। তারা বলেন, ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তবে পিডিবি বলছে, এই মুহূর্তে চট্টগ্রামে কোনো লোডশেডিং নেই। কিন্তু ট্রান্সফরমারের পাশাপাশি সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও সাথে সাথে তা ঠিক করে দেয়া হচ্ছে।
