ক্ষেত জুড়ে শুধু তরমুজ

মীরসরাইয়ের ইছাখালি

মীরসরাই প্রতিনিধি | রবিবার , ৩ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার ইছাখালিতে একদিকে ইকোনমিক জোনে উন্নয়ন, অন্যদিকে এখনো রয়েছে গরুর পাল, মহিষের পাল আর বিস্তীর্ণ গোচারণ ভূমি। রাস্তার দুপাশে এখনো দেখা যাচ্ছে অবারিত সবুজের সমারোহ। কোথাও আবার ক্ষেত জুড়ে তরমুজ আর তরমুজ। আর সেখানেই এখন তরমুজ চাষির অনাবিল হাসিতে দিগন্তও যেন হাসছে।
ইছাখালি বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে কিছু দূর এগিয়ে গেলেই নবনির্মিত ব্রিজের পাশ ঘেঁষে ১২০ কানি জমি। সেখানে স্থানীয় জমির মালিকদের থেকে ১১ হাজার টাকা কানি হারে বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন সুবর্ণচরের বাসিন্দা কৃষক সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, বছরখানেক আগে ইছাখালিতে এসে দেখেন জমির মাটি তরমুজ চাষের উপযুক্ত। তখন তিনি জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। অবশ্য স্থানীয় চাষিদের অনেকেই নিষেধ করে বলেছিলেন এই জমিতে তরমুজ হবে না, পঁচে যাবে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেন তিনি।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, যদি বেলে মাটির জমি পাই তাহলে আরো ব্যাপকহারে তরমুজ চাষ করবো। বর্তমানে আমার কানি প্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো লাভ পাবো। বর্তমানে ফেনী ও চট্টগ্রাম নগরে আমার তরমুজ বিক্রি করে থাকি।
৬ নং ইছাখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, আমার এলাকায় একজন চাষি ব্যক্তি উদ্যোগে তরমুজ চাষ করেছেন। আমি ও বেশ কয়েকবার গিয়ে তার তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি।
মীরসরাই উপজেলার কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, সিরাজুল আলম নামে একজন কৃষক নিজ উদ্যোগে ইছাখালির চরে তরমুজ চাষ করেছেন এবং সফলতার সাথে ফসল তুলছেন বলে জানতে পেরেছি। আমি নিজে দুবার গিয়ে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। তার অনুকরণে অন্য কৃষদের লাভজনক তরমুজ চাষের বিষয়ে উদ্বুুদ্ধ করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাকে সরাতে রাজনীতিকদের কেনা হচ্ছে : ইমরান খান
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ।। রোগী-স্বজনদের হুড়োহুড়ি