পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এখন এটা প্রমাণিত যে, সরকার উপড়ে ফেলতে রাজনীতিকদের গরু-ছাগলের মতো কেনা হচ্ছে। এই চক্রান্ত চলছে বিদেশ থেকে।
পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে ভাগ্যনির্ধারণের দিন আজ রোববার। এর আগে আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল শনিবার বিকেলে টিভিতে সম্প্রচারিত ভাষণে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকারকে উপড়ে ফেলতে ছাগলের মতো রাজনীতিকদের কিনে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গতকাল নাগরিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন ইমরান। লাইভ সম্প্রচারেই তাঁদের ফোন কল নেবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে নাগরিকদের উদ্দেশে কিছু কথা বলতে চেয়ে ইমরান বলেন, পাকিস্তান এখন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে। এই যুদ্ধ দেশের ভবিষ্যতের যুদ্ধ। এখন আমাদের সামনে দুটো রাস্তা রয়েছে। আমাদের স্থির করতে হবে, আমরা কি ধ্বংসের পথে যেতে চাই নাকি গর্বের পথে? খোদা আমাদের গর্বের পথ বাতলে দিয়েছেন। ওই পথই আমাদের জন্য ভাল। ওই পথেই দেশে বিপ্লব এসেছিল।
মীর সাদিক চক্রান্তকারীদের সাহায্য করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাস কিছুই ভোলে না। পাকিস্তানের ইতিহাসও এই বিশ্বাসঘাতকদের কোনও দিন ভুলবে না।
সম্প্রতি ইমরান অভিযোগ করেন, বিদেশি শক্তিই তার সরকারকে গদিচ্যুত করতে চাইছে। ওই অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ হিসেবে একটি চিঠির কথা উল্লেখ করেছেন ইমরান। গতকাল তিনি বলেন, বিদেশি চক্রান্ত তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় অ্যাসেম্বলি, এনএসসি এবং পার্লামেন্টের নিরাপত্তা কমিটির সামনে ওই চিঠি তুলে ধরেছি। প্রামাণ্য নথিতেই বলা রয়েছে, ইমরান খানকে সরালে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হবে।
এর পরেই যুবসমাজের উদ্দেশে ইমরান বলেন, এই পরিস্থিতিতে চুপ থাকলে তা খারাপদের সমর্থনেই কথা বলা হবে। আমি চাই আপনারা সরব হন এবং এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে কথা বলুন। আমার জন্য বলতে হবে না, নিজের ভবিষ্যতের জন্য বলুন।