চমেক হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ।। রোগী-স্বজনদের হুড়োহুড়ি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

আগুন আতঙ্কে রোগী ও স্বজনদের হুড়োহুড়ির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনতলার রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রবেশমুখে দেয়ালে সাঁটানো বৈদ্যুতিক তারে শট সার্কিটে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এসময় নিচ তলা থেকে চারতলা পর্যন্ত ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে হাসপাতালের নিচ তলায় ন্যায্য মূল্যের দোকানের পার্শ্ববর্তী একটি কক্ষ (স্টোর) থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। যদিও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। আর ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই বৈদ্যুতিক ত্রুটি সারাতে সক্ষম হন গণপূর্তের বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। এসময় উপ-পরিচালক ডা. অংসুই প্রু মারমা, সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত, ডা. জাহাঙ্গীর আলম সাথে ছিলেন। এছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার, পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য ও আনসার কমান্ডারসহ অন্যান্যরা সেখানে হাজির হন। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিচ তলা থেকে তিনতলা ও চারতলার বৈদ্যুতিক পয়েন্টের স্থানে যান হাসপাতাল পরিচালক। এসময় গণপূর্তের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈদ্যুতিক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে ত্রুটি সারাতে সক্ষম হন তারা। পরে ধোঁয়া নির্গত হওয়া বন্ধ হয়।
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, তিন তলার বৈদ্যুতিক পয়েন্টে হালকা শর্ট সার্কিট হয়। কেউ হয়তো ফায়ার এক্সিটিংগুইশার দিয়ে সেখানে স্প্রে করেছে। খুব বেশি করে স্প্রে করার কারণে তা নিচতলা দিয়ে ধোঁয়া হয়ে বের হচ্ছিল। আর ধোঁয়া দেখে অনেকেই আগুন ধরেছে মনে করেছে। তবে আমাদের ভাগ্য ভালো আগুন ধরেনি। ধরার আগেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পেরেছি। খুব বেশি পুরনো ওয়্যারিং হওয়ার কারণে শট সার্কিটের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন হাসপাতাল পরিচালক।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যায় চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। আগুন লাগার খবরে সেখানে গেলেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ। যে ধোঁয়া বের হচ্ছিল, তাও হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা নিজেরা বন্ধ করতে সক্ষম হয় বলে জানান তিনি।
অবশ্য, আগুন না লাগলেও ধোঁয়া বের হতে দেখে রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দুতলা থেকে শুরু করে ৬ তলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অনেক রোগীকে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামতে দেখা গেছে। আগুন ধরেছে মনে করে রোগী ও রোগীর বিছানাপত্রসহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে তারা নেমে আসে। আগুন আতঙ্কে অনেককে শোরগোল করতেও দেখা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষেত জুড়ে শুধু তরমুজ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৫৬ জঙ্গির মধ্যে শেষ হয়েছে চারজনের বিচার