ক্যামেরুন-সার্বিয়ার রোমাঞ্চকর ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

 

 

ক্যামেরুনসার্বিয়ার রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে কেউ জিততে পারেনি। তবে অনেকটা সময় এগিয়ে ছিল ক্যামেরুন। পরে ৩ গোল করে চালকের আসনে বসে যায় সার্বিয়া। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বদলি নেমে খেলার চিত্র পাল্টে দিলেন ক্যামেরুনের ভিনসেন্ট আবুবাকার। তিনি গোল করলেন ও করালেনও। তার নৈপুণ্যে টানা হার থেকে রক্ষা পেলো ক্যামেরুন। গতকাল সোমবার ‘জি’ গ্রুপে এই দুই দলের রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩৩ গোলে ড্র হয়েছে। এক পর্যায়ে ৩১ গোলে এগিয়ে গিয়েও জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছে সার্বিয়া। আর বিশ্বকাপে টানা আট হারের পর পয়েন্টের দেখা পেল ক্যামেরুন। হার দিয়ে আসর শুরু করা দুই দলের লড়াইয়ে প্রথম সুযোগ পায় ইউরোপের দলটি। একাদশ মিনিটে আলেকসান্দার মিত্রোভিচের শট ব্যর্থ হয় দূরের পোস্টে লেগে। ছয় মিনিট পর খুব কাছ থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। নষ্ট হয় সুবর্ণ সুযোগ। ডিফেন্ডার জ্যাঁশার্ল কাস্তেলেতুর গোলে ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় আফ্রিকার দলটি। কর্নার থেকে একজনের হেড সার্বিয়ার একজনের মাথা ছুঁয়ে চলে আসে দূরের পোস্টে। অরক্ষিত কাস্তেলেতুর স্রেফ একটা টোকা দরকার ছিল। দেশের হয়ে এটাই নঁতের ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। ৪৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন পিয়ের কুন্দে। মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান এই মিডফিল্ডার। গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। ফিরতি বল মারেন বাইরে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সমতা ফেরায় সার্বিয়া। দুসান তাদিচের ফ্রি কিকে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন স্ত্রাহিনিয়া পাভলোভিচ। ঝাঁপিয়ে পড়লেও বলের নাগাল পাননি ক্যামেরুন গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর দলকে এগিয়ে নেন সের্গেই মিলিনকোভিচসাভিচ। আন্দ্রিয়া জিভকোভিচের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিবঙের বাইরে থেকে জাল খুঁজে নেন লাৎসিওর এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্কোরলাইন ৩১ করে ফেলেন মিত্রোভিচ। পাসিং ফুটবলে শানানো আক্রমণে ডিবক্সে ঢুকে পড়ে সার্বিয়া। জিভকোভিচের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে বাকিটা সারেন ফুলহ্যাম ফরোয়ার্ড মিত্রোভিচ। ৬৪তম মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে চমৎকার এক গোলে ব্যবধান কমান ভিনসেন্ট আবুবাকার। শুরুতে অফসাইডের ইশারা দেন লাইন্সম্যান। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশি বাজার রেফারি। ২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড পর সমতা ফেরায় ক্যামেরুন। এই গোলেও দারুণ অবদান ৫৬তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে আসা আবুবাকারের। ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে তিনিই পাস দেন এরিক ম্যাক্সিম চুপোমোটিংকে। বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড বাকিটা সারেন অনায়াসে। শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন মিত্রোভিচ। ৮৮তম মিনিটে তার শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পর আরেকটি শট ব্যর্থ হয় এগিয়ে আসা ক্যামেরুন গোলরক্ষকের মুখে লেগে। এই ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শেষ দুটি স্থানেই আছে ক্যামেরুন ও সার্বিয়া। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড ৩ পয়েন্ট করে নিয়ে আছে প্রথম দুটি স্থানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনকআউটের আশা জিইয়ে রাখল জার্মানি
পরবর্তী নিবন্ধমরক্কোর কাছে হারে বেলজিয়ামে দাঙ্গা