দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মিটারগেজ লাল–সবুজ ১৪৭টি কোচ আমদানি চুক্তির শেষ লট চলে এসেছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এখন খালাসের প্রক্রিয়া চলছে। এবারের লটে রয়েছে এসি কেবিন, ননএসি কেবিন পাওয়ারকার এবং একটি সেলুনকার (পরিদর্শন গাড়ি)। বন্দরে খালাস প্রক্রিয়া শেষে নিয়ে আসা হবে পাহাড়তলী কারখানায়, সেখানে কোরিয়ান এবং বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে কমিশনিং এবং ট্রায়াল হওয়ার পর চাহিদা অনুযায়ী রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।
তিনি আজাদীকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৪৭টি লাল সবুজের আধুনিক উচ্চগতির মিটারগেজ কোচ আমদানির সর্বশেষ চালান গত শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর এসে পৌঁছেছে। খালাসের পর পাহাড়তলী কারখানায় রাখা হবে। আধুনিক এই কোচগুলো কমিশনিং এবং ট্রায়াল শেষে বিভিন্ন রুটে যুক্ত হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মেকানিক্যাল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত আধুনিক মিটারগেজ কোচ ইতোমধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত হয়েছে। আরো অনেক নতুন কোচ পাহাড়তলী কারখানায় পড়ে আছে। ইঞ্জিন সংকটে নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেন চালুর কথা থাকলেও ইঞ্জিন সংকটে সেই সিদ্ধান্ত আটকে আছে। চট্টগ্রাম–ঢাকা রাত্রিকালীন একটি আন্তঃনগর, চট্টগ্রাম–সিলেট এবং চট্টগ্রাম–চাঁদপুর রুটে নতুন একটি করে নতুন ট্রেন চালুর জন্য রেল ভবনে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ইঞ্জিন সংকটে সেই সিদ্ধান্ত আটকে আছে। এদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং যাত্রীদের চহিদার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও ইঞ্জিন সংকটের কারণে তা পিছিয়েছে। শিগগিরই এ রেলপথে নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ঢাকা–কক্সবাজার রেলপথে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু আছে। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রামের জন্য শুধুমাত্র ১১৫টি করে টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীরা যাতায়াত সুবিধা পাচ্ছেন না। এ কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা ট্রেনে যাতায়াত সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম–কঙবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালুর ব্যাপারে সব প্রস্তুতি আছে। তবে কবে থেকে চলবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে ইঞ্জিন সংকটের কারণে তা শিগগিরই চালু হচ্ছে না। কবে নাগাদ চালু হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সদর দফতরের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।
