কে হাসবে শেষ হাসি?

বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে দুই প্রতিবেশী

দুবাই থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিশ্ব ক্রিকেটের এখন প্রাণকেন্দ্র। মরুর দেশে আবহাওয়া এখন বেশ শীতল। অথচ আজ দুবাই স্টেডিয়ামে উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল। কারণ এখানেই যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। অথচ দুবাই স্টেডিয়াম এখন একেবারে নিরুত্তাপ। কারণ ফাইনালের দুই দল যে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। বিশ্ব ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি এই দুই দল। কিন্তু আরব আমিরাতের এই ময়দান যে ভারত-পাকিস্তান ছাড়া আর কিছু বোঝে না। তাইতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালকে ঘিরে নেই তেমন আকর্ষণ কিংবা উত্তেজনা। সবার মাঝে এক ধরনের হতাশা বিরজ করছে। কারণ ফাইনালটা সবার কাছে অপ্রত্যাশিত। বিশ্বকাপ শুরুর আগে কেউ ভাবেনি ফাইনালে যাবে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। কিন্তু চাইলে তো সব হয় না। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই ভারতের বিদায় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে অপ্রতিরোধ্য ছিল বলেই কিনা পাকিস্তানকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনেছিল উপ মহাদেশের দর্শকরা। কিন্তু সে পাকিস্তান হতাশ করে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে। তাই বিশ্বকাপটা এখন এক রকম পানসে হয়ে গেছে এই অঞ্চলের মানুষের কাছে। তারপরও বিশ্বকাপতো বিশ্বকাপই। তার উপর ফাইনাল। টুর্নামেন্টের সেরা দুদলই এখন ফাইনালে। তাসমান সাগর পাড়ের এই দুই প্রতিবেশীর লড়াই ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের চাইতে কোন অংশে কম নয়।
এবারের বিশ্বকাপে এ দুদল এখনো মুখোমুখি হয়নি। একেবারে ফাইনালে দুদলের দেখা। সবশেষ গত দুই বছরে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে নিউজিল্যান্ড। জিতেছে টেস্টের বিশ্ব সেরার ট্রফি। আজকের ফাইনালের দুদলের কেউই এখনো টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তাই দুদলই চাইবে প্রথম শিরোপাটা জিততে। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচে হেরে দুদলই এখন ফাইনালে। দুদল সেমিফাইনালে বিদায় করেছে দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে। তাই লড়াইটা হবে সেয়ানে সেয়ানে। অস্ট্রেলিয়ার ফর্মহীনতায় থাকা ক্রিকেটাররা ফিরেছে ফর্মে। বিশেষ করে সেমিফাইনালে ওয়ার্নার, ওয়াডে, স্টয়নিচরা যেভাবে পাকিস্তানের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছে তা ছিল অবিশ্বাস্য।
এর আগে প্রথম সেমি-ফাইনালে কনওয়ে নিশামরা যেভাবে টুর্নামেন্টের টপ ফেভারিট ইংল্যান্ডকে বিদায় করেছে তাতে মনে হচ্ছে ম্যাচটা উত্তাপ ছড়াবে দর্শকদের মাঝে। দুদলের টপ অর্ডারে ফিঞ্চ, মার্শ কিংবা গাপটিল, উইলিয়ামসনরা জ্বলে উঠলেতো কথাই নাই। বল হাতে দুদলে রয়েছে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মত অনেকেই। অসিদের যেমন রয়েছে স্টার্ক, হ্যাজেলউড, জাম্পারা তেমনি কিউইদের রয়েছে সাউদি, বোল্ট, সোধিরা। কাজেই শক্তি, সামর্থ্য আর অভিজ্ঞতায় দুদল বলতে গেলে সমানে সমান। মাঠে নিজেদের সামর্থ প্রমাণের পালা। এখন দেখার অপেক্ষা কার হাতে উঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের ট্রফি। কে হাসবে শেষ হাসি। উইলিয়ামসন নাকি ফিঞ্চ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদা আবার হাসপাতালে
পরবর্তী নিবন্ধগণপরিবহনে লাল-সবুজ স্টিকার লাগানো শুরু